অভিনেতা মোশাররফ করিমের প্রতি স্রদ্ধা হিসেবে তার জীবনী তুলে ধরছি । ১৬৩
আমার প্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের প্রতি স্রদ্ধা হিসেবে তার জীবনী তুলে ধরছি । 22 আগস্ট 1970 সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন মোশাররফ করিম ।
তিনি যখন ঢাকায় আসেন, তখন থাকার কোন জায়গা ছিল না। আন্ডার কন্সট্রাকশন
building এর ম্যানেজার
হিসাবে পরিচিত ছিলেন, সেই building এর সিড়ির
নীচে কোন রকম একটা ঘরে থাকতেন। একজোড়া স্যান্ডেল যে কতবার
সেলাই করে পড়েছেন
ইয়াত্তা নেই।
একটি টি-শার্ট আর কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হেঁটে বেড়িয়েছেন কাজের
সন্ধানে।
তারপর একটি মঞ্চনাট্য
গ্রুপের সাথে জড়িয়ে যান আর টিউশনি করেন।
এভাবেই চলছিল জীবন।
পাসিং শট দিয়ে টিভি নাটকে তার অভিনয় জীবন শুরু। পাসিং শট
মানে শুধুই হেটে যাওয়া,
বা বসে থাকা। সংলাপ
তো দূরের বিষয়। লাইট
ম্যানদের সাথে মাইক্রোর শেষ সিটে বসে সেটে আসতে হতো। তাতে তার কোন আক্ষেপ ছিল না। কারন সে নায়ক হতে আসেনি, সে এসেছিল
অভিনেতা হতে। এরপর
ধীরে ধীরে সংলাপ সহ
অভিনয় করার সুযোগ
হয়ত মিলল, তাও বা কোন চাকরের চরিত্রে বা নায়কের বন্ধুর চরিত্র। এগুলো খুব বেশী দিন
আগের কথা না। তার
ভিতরের সুপ্ত প্রতিভা দিন দিন প্রকাশ পেতে থাকল।
সেই প্রতিভার আলো সম্পূর্ন দুপ করে জ্বালিয়ে দিলেন যে পরিচালক, তার নাম মোস্তফা সরয়ার
ফারুকী।
‘ক্যারাম’ টেলিফিল্ম
তার জীবনের মোড়
ঘুড়িয়ে দেয়। এরপর আর
তাকে কোনদিনও পিছনে তাকাতে হয়নি। এখন
তার শিডিউল নিতে হলে তিন মাস তার পিছনে পিছনে ঘুরতে হয়। জীবন
এমনই। ঘূর্নায়মান! প্রতিভা থাকলে আর তার জন্য
একনিষ্ঠ পরিশ্রম করার
মনমানসিকতা থাকলে তাকে কেউই আটকিয়ে রাখতে পারে না। মোশাররফ করিম তেমনই
একজন প্রতিভাবান,
পরিশ্রমী অভিনেতা।
না সে এখনো নায়ক নন,
তিনি নায়কেরও অনেক
উর্দ্ধে! তিনি একজন অভিনেতা। যে অভিনেতার নাম শুনলেই চোখের
সামনে ভেসে উঠে একাধিক চরিত্র!
তিনিই মোশাররফ করিম! নির্দিষ্ট কোন চরিত্রে যাকে কোনদিনই বাঁধা যায়নি, যাবেও না ।
#সংগ্রহীত