উপলব্ধি – সমাজের বেশিরভাগ মানুষই জ্ঞানীদের কথার মর্মার্থ বুঝে না । ১৪০

 

উপলব্ধি – সমাজের বেশিরভাগ মানুষই জ্ঞানীদের কথার মর্মার্থ বুঝে না । ১৪০

বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুলের কালজয়ী “বিদ্রোহী” কবিতাটি যখন প্রকাশিত হলো, তখন সেই সময়কার আলেম সমাজ প্রচন্ডরকম ক্ষেপে গেলেন! কারনটা ছিলো, এই কবিতার একদম শেষের দিকের একটি লাইন! এখানে কবি বলছেন “আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!”, অনেক আলেমগন এটা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন এটা বলে যে ওর এতো বড় সাহস! ও ভগবানের বুকে পদ চিহ্ন একে দিতে চায়!
বিচার গেলো তৎকালীন মোড়লের কাছে। মোড়ল সবাইকে ডাকলেন, সাথে নজরুলকেও। সবার সামনে মোড়ল সাহেব নজরুল কে বললেন, “নজরুল, গাও, একটা গান গাও”! উপস্থিত সবাই এটার প্রতিবাদ করলো, বিশেষ করে ইসলামিক স্কলারগন! উনারা বললেন, আমরা কি এখনে গান বাজনা করতে এসেছি যে গান শুনবো! সব প্রতিবাদ উপেক্ষা করে নজরুল একটি নাত তাৎক্ষনাত রচনা করে নিজ গলায় গাইতে শুরু করলেন,
“তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে,
মধু পূর্নিমারই সেথা চাঁদ দোলে..”
মনমুগ্ধকর নাতটি সবার হৃদয় ছুয়ে গেলো। সবার রাগ প্রশমিত হলো। পরে ঠান্ডা মাথায় নজরুল তার কবিতার সারমর্ম বোঝালেন। উনি এই ভগবান বলতে, বৃটিশদের বুঝিয়েছেন। আর তাছাড়া মুসলমানরা তো তাদের রব কে ভগবান বলে ডাকেন না, কাজেই, এটাতো উনাদের প্রতিবাদের কারন হবার কথা নয় !
উপলব্ধি – সমাজের বেশিরভাগ মানুষই জ্ঞানীদের কথার মর্মার্থ বুঝে না ।

Join The Discussion

Compare listings

Compare