“”এই হলো প্রবাসী জীবন। 157
“”এই হলো প্রবাসী জীবন। ফ্যামিলির লোক বলে ওমুকে এতো টাকা পাঠাইছে, তোরা কি করিস।ভাই বলে আমাকে গ্যালাক্সি মোবাইল দেও, বোন বলে আমাকে চেইন দেও। আর প্রবাসীরা প্রবাসে এইভাবে মরে।”””
কদিন আগে এই পোস্টটি একটি গ্রুপ দেখতে পাই। বিদেশে আমাদের দেশের মানুষগুলো সত্যি অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে, আমি নিজের চোখে দেখেছি , আর তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন বেশির ভাগ সময় তাদের প্রতি যে আচরণ ও প্রত্যাশা করে টা অত্তান্ত বেদনার । সকল খেটে খাওয়া মেহনতি প্রবাসি ভাইকদেরকে এই স্ট্যাটাস উৎসর্গ করছি । সবাই ভাল থাকবেন ।
সেদিন একবন্ধুর হাতের রান্না খেলাম। খুব সুন্দর রান্না করে। মাংশতে এত ঝাল দিছে যে আমার চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছিলো। বন্ধুকে বললাম, ‘এত ঝাল খাস কেন? “ছোট বেলায় খুব অভাব ছিলো। প্রায়ই শুধু মরিচ দিয়ে ভাত খেতাম। সেই থেকে অভ্যাস হয়ে গেছে”। বন্ধুর জবাবটা এমনই ছিলো। আমি চমকে তাকালাম। নিজের পরিবারের অভাব আর না পাওয়ার গল্পগুলো নিয়ে এতবার এতকিছু
লিখেছি যে আর লিখতে ইচ্ছা করে না। আর বর্তমান জেনারেশনের বেশির ভাগই সব পেয়েছির দল। সো, তাদের কাছে এই কচকচানি বিরক্তিকর মনে হতেই পারে। তবে শুধু এইটুকু বলি,, জীবনটাতে টানপোড়ন, স্ট্রাগল, সংগ্রাম এই জিনিসগুলো বড্ড প্রয়োজন। না , আমি কারো সামর্থ্য থাকাকে দোষ দিচ্ছি না। সেটা অবশ্যই শুকরিয়া করার বিষয়। তবে কেউ কেউ চাহিবা মাত্র সবপেয়ে জীবনটাকে বিভিন্ন রং এর সাথে গুলিয়ে ফেলে। তাদের কাছে জীবন মানে একটা সেলফি, চেকইন, ডিজে পার্টি, হ্যাং আউট, বারবিকিউ, কিংবা ভার্চুয়াল কিছু অনূভুতি।
তারা কি জানে? বাস্তবটা অত সোজা না। যেখানে একটা স্ট্যাটাস কিংবা দুইটা সেলফি দিয়ে সবকিছু আপডেট রাখা যায় না। বাস্তব জীবনটাকে আপডেট রাখতে হলে,, ছুটতে হয়। ছুটতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়। হোঁচট খেয়ে ব্যাথা পেলে চোখে জল আসে। সেই চোখের জল মুছে উঠে দাঁড়িয়ে আবার ছুটতে হয়। নইলে জীবন তোমাকে খরচের খাতায় ফেলে দিবে। তুমি হারিয়ে যাবে সব বেহিসেবের আবর্জনায়…
(collected)