কিছু বিজনেস ফ্যাক্ট, গুগল ইয়াহু নিয়ে কথা ১১০

কিছু বিজনেস ফ্যাক্ট, গুগল ইয়াহু নিয়ে কথা ১১০

#গুগল যখন হাঁটিহাঁটি পা পা, ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিন বিশ মিলিয়ন ডলারে গুগলকে কিনতে চেয়েছিল , গুগল বলেছে পঞ্চাশ দিতে হবে ।
এরপর গুগলের প্রসার ব্যাপক হয়ে গেলে ইয়াহু তাদের ভুল বুঝতে পারে , এবার মিলিয়ন না , গুগলকে অফার করে চল্লিশ বিলিয়ন । গুগল তখন ইয়াহুকে গোণার টাইম পার করে ফেলেছে আগেই ।

#এরপর তখন কেউ আর ইয়াহু ইউজ করে না । মাইক্রোসফট ইয়াহুকে কিনতে চায় চল্লিশ বিলিয়নে , ইয়াহু রাজি হয় না , তার দাম এত কম না ।
শেষমেশ ইয়াহু বিক্রি হয় চার বিলিয়ন ডলারে অখ্যাত এক কোম্পানির কাছে ।

#এখন প্রায়ই হয়ত নেট ইউজাররা খেয়াল করবেন , আপনি দিচ্ছেন গুগল সার্চ , সেটা কিভাবে যেন ইয়াহু সার্চে চলে যাচ্ছে । ইয়াহুর পরিচয় এখন সার্চ ইঞ্জিন ম্যালওয়েয়ার হিসেবে , এইটাকে বসে ক্লিন করা আরেক ঝামেলা ।
ইয়াহু সময় থাকতে গুগলকে কদর করে নাই , পরে নিজেই ছাগলের তিন নাম্বার ছাও হয়ে গেছে ।

#বাংলাদেশের অবস্থাও এর থেকে বেশি কিছু না । বাংলাদেশকে কেউ হাতে ধরে সাফল্য এনে দিলে তখন নাচে , গর্ব করে । এর আগে তার পিছে এক টাকাও ঢালতে রাজি না , উপরন্তু ঘুষও হয়ত চেয়ে বসে ।

#আন্তর্জ্জাতিক রোবটিক প্রতিযোগিতায় মঙ্গল গ্রহে রোবট পাঠানোর প্রতিযোগিতায় ৬৩ দলের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল তিরিশের মধ্যে ।
সেদিন দেখলাম বুয়েটের ইন্টারপ্ল্যানেটার দল অফিশিয়াল ঘোষণা দিল তাদের আর প্রজেক্ট এগিয়ে নেওয়ার মত আর্থক সঙ্গতি নেই , তারা তাদের প্রজেক্ট ক্লোজ করে দিয়েছে । নিজের পকেটের পয়সায় আর কতদূর যাওয়া যায় ?
এআইইউবির আর্কও ভিসা না পাওয়ায় প্রতিযোগিতায় আর যেতে পারছে না ।
অথচ এদের দরকার ছিল সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা । আর এরাই যদি প্রথম স্থান অধিকার করে আসত , তাহলে হয়ত এদের বঙ্গভবনে সংবর্ধনা দেওয়া হত ।

#একটা অপ্রিয় কথা বলি , আমাদের সাকিব আল হাসান বা মুস্তাফিজকে বিসিবি গড়ে নাই , তারা নিজ যোগ্যতায় যখন দেশের নাম উজ্জ্বল করল তখন তারা আমাদের হিরো হয়ে গেল । অথচ আগের বছরগুলোয় বিসিবি কত নোংড়া পলিটিক্স করেছে তা তো অজানা না । তাও যে সাকিবরা আমাদের দেশের হয়ে খেলে এটা আমাদের সাত জনমের ভাগ্য ।

#অলিম্পিকের এবারের মার্গারিটার কথা সবাই জানে । পেপারগুলো তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ , সে বাংলাদেশি কন্যা , তার বাবা বাংলাদেশি ।
মার্গারিটার বাবা বছর সাতেক আগে যোগাযোগ করেছিলেন বাংলাদেশের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে, চেয়েছিলেন মেয়ে খেলুক লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে। কিন্তু সে সময়কার ফেডারেশন কর্মকর্তারাও রিদমিক জিমন্যাস্টিক ইভেন্টের প্রচলন বাংলাদেশে না থাকায় সেভাবে আগ্রহ দেখাননি। ফলে পাসপোর্ট জটিলতাসহ নানা আমলাতান্ত্রিক বিধিনিষেধের কারণে মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যান । তিনি জানতেন না একটু মামা চাচা ধরলেই হত , বা সরকার দলের লবিং হলে এটা দুই মিনিটের কাজ ছিল।

#মার্গারিটা এখন রাশিয়ান চ্যাম্পিয়ন , বাংলাদেশের না , বাংলাদেশ মার্গারিটাকে কদর করতে পারে নাই , মার্গারিটা হাতে ধরে লাল সবুজ পতাকাকে পদক দিতে চেয়েছিল , আমরা ইয়াহুর মত বলদামি করে এখন ছাগলের তন নাম্বার ছাওয়ের মত তাকে নিয়ে ফাল পারতেসি ।

মূল লেখক;- যুবায়ের আহমেদ ❤ ❤

COLLECTED FROM Nurun Nabi Hasan

Join The Discussion

Compare listings

Compare