” জীবনে অনেক কষ্ট করেছি কিন্তু কামলা দেই নাই ” ৮৬
আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ যে অশিক্ষিত সেটা নতুন করে বলার কিছু নাই এটা আমরা সবাই জানি । আমাদের প্রজন্মের কজনের দাদা গ্রাজুয়েট ? কজনের বাবা গ্রাজুয়েট ? নিজেকে প্রশ্ন করলেই আমরা যার যার উত্তর পেয়ে যাব । আর যাদের বাবা বা দাদা শিক্ষিত তারা বড়ই ভাজ্ঞবান কিন্তু তাদের সংখা অত্তান্ত কম । অর্থাৎ বেশির ভাগ মানুষই পরালেখা যানে না শিক্ষিত মানুষের সংখা অনেক কম । তাই আমাদের সমাজে এর খারাপ প্রভাব গুলো বিদ্যমান । আজ এমন একটি খারাপ বিষয় নিয়ে আমি লিখছি ————————
” জীবনে অনেক কষ্ট করেছি কিন্তু কামলা দেই নাই ”
আমি বাস্তবে অনেক বুদ্ধিমান লোকদের সাথে কথা বার্তা বলে জানতে পেরেছি যারা তাদের অতিতের গল্প করতে গিয়ে তারা যে কোথায় কাজ করে নাই এটা বলে গর্ব বোধ করে । যদিও বাস্তবে তারা পরের কাজ ও করেছে কিন্তু সেটা বলতে চায় না এটা বলতে তারা লজ্জা পায় । কারন তাদের মধ্যে একটা ধারনা বিদ্যমান যে কাজ করা লজ্জার আর কাজ না করাটা সম্মানের । আমি এমনি একজনের সাথে কথা বলছিলাম যিনি খুব আনন্দের সাথে বলতেচিলেন যে , মানির মান আল্লাহ রাখে , জীবনে কষ্ট করেছি অনেক কিন্তু কোনদিন আল্লাহ পরের কাজ করায় নাই ” ।
ইউরোপ, আমেরিকার মত উন্নত দেশে যাওয়ার জন্য আমাদের দেশের লাখ লাখ মানুষ ইচ্ছুক , ২০/৩০/৪০ আমনকি ৫০ লাখ টাকা দিতেও প্রস্তুত, সেই দেশে গেলে কিন্তু সবাইকে কাজ করতে হয় । কোন মাফ নাই । কাজ আপনাকে করতে হবেই ।
আমাদের দেশে যে ছেলেটা কলেজে যায় তার কাপড়টা অন্য কেউ ধুয়ে দেয় । তার ঘরটা অন্য কেই পরিস্কার বা গুছিয়ে দেয় । অথচ বিদেশে সব কাজ সবাই নিজে করে স্কুল বা কলেজ এর ছুটিতে তারা হোটেলে দোকানে বাজারে, সুপার শপে কাজ করে এবং এজন্য তারা বা তাদের পরিবার লজ্জিত না পরিবার তাদের উৎসাহ দেয় ।
কাজ করেই ইউরোপ অ্যামেরিকা আজ উন্নত বিশ্ব হয়েছে আর আমরা কাজ করতে লজ্জা পাই বলেই আমারা পিছনে পরে আছি । যতদিন না আমাদের দেশে কাজকে সম্মানের চোখে না দেখা হবে ততদিন আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পউছিতে পারব না । আসুন কাজ করি সবাইকে কাজ করতে উৎসাহ দেই এবং যারা কাজ করে তাদের সম্মান করি । রাজ মিস্ত্রি, কৃষক, ড্রাইভার, দোকানদার, হকার, হোটেল বয়, রিক্সা চালক এমন সব কাজই অনেক সম্মানের । কাজের মধ্যে লজ্জার কিছু নাই।
লিখেছেন – Khandokar Robi
pic location – Amader Gramer Brir Main gate সেদিন আমাদের বাসার কাজে রাজ মিস্ত্রির সাথে সারাদিন কাজ করেছি ।