প্রতারক ছেলেডেড় কাহিনী । ২৯
Aditia Hassan Punno নামের মেয়েটি লিখে পাঠিয়েছেন পাঠকদের জন্য । তার জীবনের সত্য ঘটনা । না পড়ে মন্তব্য করবেন না ।
এক ছেলে মেডিকেলে পড়ে তো সে আমাকে নানান প্রশ্ন করতো যেহেতু আইডিতে কিছুই বুঝার উপায় নাই।যাক দুই তিনদিন এভাবেই গেলো।তারপর থেকে মেসেজ করার পরিমান বেড়ে গেলো আমি যথা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। পনেরো বিশদিন পর হঠাৎ করে আমাকে বললো আমার একটা হেল্প লাগবে করবেন,আমি জানতে চাইলাম কি হেল্প,সে যা বললো তার মানে দাড়ালো-সে ঘুরতে যাবে আমি তাকে টাকা দিতাম সে পরে বাড়ি গিয়ে পরিবাররের কাছ থেকে ম্যানেজ করে আমাকে দিয়ে দিবে।কিন্তু আমি যেনো এখন তাকে টাকাটা দেই।তাকে টাকা দেয়া হয় নাই আমার এক বড়ভাইয়ের পরামর্শে।২০১৪তে একটা ছেলের সাথে ফেবুতে পরিচয় ছোট্ট একটা ছেলে তখন মনে হয় ইন্টার কমপ্লিট করে ট্যক্সটাইলে ডিপ্লোমা করবে। এক পর্যায়ে সে আজ ২০০টাকা দেন না কাল মোবাইলে টাকা লাগবো পরশু এই হইছে সেই হইছে বলে টাকা চাইতো আমিও যথা সম্ভব দিতাম।ঐ ছেলেটার মা নাই তাই তার প্রতি একটা দুর্বলতা কাজ করতো। মনে মনে ভাবলাম দেখি সে কতদিন এমন করতে পারে।এই ১৮তে এসেও আমি তাকে মাঝে মাঝেই টাকা দেই।দেখার জন্য যে কবে নিজের ব্যক্তিত্ব জিনিষটা বুঝবে।আমার প্রেমিক!!!হুট করে বললো আমাকে এক ঘন্টার মধ্যে ৫০হাজার টাকা যোগার করে একাউন্টে পাঠাও।কি করবো আমার মাথা নষ্ট কি কারনে টাকা লাগবে তাও বলে না।যাক মায়ের কাছ থেকে আর মাকে দিয়ে ভাইয়ের কাছ থেকে মিলিয়ে ৩০হাজার পাঠাতে পেরেছিলাম।কি করবো সময় কম।সেই টাকা ফেরত দিলেও পরের ১০হাজার টাকা আজো পাই যদিও সম্পর্কটা নেই।
ছোট ভাইয়ের বন্ধুরা যখন কথা বলে সেগুলা কিছু কিছু কানে আসে।কারো প্রেমিকা হাতের আংটি বিক্রি করে টাকা দেয় কক্সবাজার যাওয়ার জন্য।টিচারের টাকা হারিয়ে গেছে বলে জন্মদিনের গিফট কিনে দেয়।সত্য বলতে লজ্জা নেই আমারই ছোটভাই,ঘর থেকে মোবাইল চোরে নিয়ে গেছে তার প্রেমিকা থাকে আমাদেরই দো-তলায়, সে শুনতে পেয়ে গলার চেন বিক্রি করে দিয়ে আমার ভাইকে মোবাইল কিনে দিছে আর আমার ভাইও নিলজ্জের মত তা হাত পেতে নিছে।যদিও এই ঘটনা আমি তাদের বিয়ের পরে কোন এক কথার ছলে শুনেছি।