প্রশ্ন –  একটি উদ্যোগ বা বিজনেস কি কি কারনে বন্ধ হতে পারে এমন একটি তালিকা দিচ্ছি  ।

প্রশ্ন –  একটি উদ্যোগ বা বিজনেস কি কি কারনে বন্ধ হতে পারে এমন একটি তালিকা দিচ্ছি  ।

১। কোন চাহিদা নাই –

আমরা ঊড্ডোগটাড়া নিজের শোপণ বা কোল্পোণাকে বাস্তবে কল্পনা কোরতে খুব ভাল বাশী । কিন্তু অনেক সময় মার্কেটে দরকার নাই এমন সব শেবা এবং পণ্য আমরা নিয়ে আসতে চেষ্টা কোড়ী ফলে আমাদের সেই উদ্যোগটি আর   টিকে না । যেমন গাও গেড়ামে ডায়মণ্ড এর দোকান কীণবা ঢাকা শহরে প্লেনের শো রুম কোনটাই চোল্বে না কারণে গড়ামে ডায়মোণ্ডেড় চাহিদা নাই, ঢাকা শহরে প্লেনের চাহিদা নাই ।

২। টাকা ফূড়ীয়ে যাওয়া – অনেকে বিজনেস শুরু করার সময় যথেষ্ট পরিমান বিনিয়োগ নিয়ে শুরু করতে পারে না ফলে বিজনেস শুরুর পরে প্রাথমিক, খরচ, মার্কেটিং, কমচারি বেতন ভাটা দিতে দিতে লাভের মুখ দেখার আগেই টাকা শেষ হয়ে বিজনেস বন্ধ হয়ে যেয়ে থাকে । যেমন প্নি মনে করলেন আপনি একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি করলেন, জমি কিনলেন, একটা আবাসিক ভবন তৈরি শুরু করে দিলেন । মনে মনে ভাব্লেন যে নির্মাণ শুরু করি পরে কিছু ফ্লকাত আগেই সেল করে, কিনবগা নির্মাণ সামগ্রি বাকি নিয়ে কাজতা শেষ করে ফেলবেন । কিন্তু দেখা গেল পরবর্তীতে । কাঙ্ক্ষিত পরিমান ফ্লাট বিক্রি হল না , ঠিক মোট টাকা দিতে  না পারায় কোম্পানি রড সিমেন্ট দেয়া বন্ধ করে দিল, অত্থবা নির্মাণ সময়কাল বৃদ্ধি পাবার ফলে অফিস খরচ, নির্মাণ খরচ, কর্মচারী বেতন ও অফিস ভাড়া দেয়ার মোট টাকা আপনার ফুরিয়ে গেল । কি করবেন তখন  ? ঢাকা সহর ঘুরলে এমন অর্ধেক নির্মাণ ভবন দেখতে পাবেন যারা পরে সামান্য নাম মাত্র দামে এমন অরধেন নির্মাণ প্রকল্প বিক্রি করে বিজনেস গুতিয়ে  নিয়েছে । অনেক কোম্পানি ফ্লাট বুঝিয়ে দিতে না পেরে পালিয়েছে ।  এরা আসলে কেউ টাকার জগার করতে পারে নি  ।

৩। সঠিক লোকজন না থাকা ভূল টিম – আপনি কোন প্রতিষ্ঠান শুরু করলে সেখানে কাজ করার লোকের কোন অভাব হবে না । আত্মীয় স্বজন বঙ্ঘু বান্ধব পারা প্রতিবেশী সবাই আপনার কাছে কাজ চাইবে । আপনিও খুব দেখে সুনে ২/৪ জঙ্কে সুযোগ দেবেন কিন্তু দুক্ষের বিষয় হল বেশিরভাগ লোক আপনি যে কাজ দেবেন সে কাজ হয় ঠিক মত করবে না, নয়ত কাজটি কিভাবে করতে হয় সে জানেই না শুধু তাই না কাজটি সেখার আগ্রহ টুকুও দেখবেন যে টার নাই । আপনি জেনে অভাব হবেন যে আপনি আমন লোক পাবেন যে আপনার কাজ গুলো কি করে ক্ররতে হয় সে সব জানে কিন্তু সে পরিশ্রম করতে রাজি না । আপনার কোম্পানি যদি এমন লোকদের নিয়ে শুরু হয়ে থাকে তবে ৩ বছর যাওয়া লাগবে না । ১ বছরের মধ্য সবা ক্যাশ টাকা ফুরায়া গেলে ২য় বছর বিজনীস নিজ দাইত্তে বন্ধ হয়ে যাবে, বলেন মারহাবা ।

৪। প্রতিযোগিতা –

সারথের এই দুনিয়ায় সবাই নিজে বড় হতে চায় । নিজে উপরে উত্তে চায় । খেলায় ওপর দল হারুক তবু নিজে জিত্তে চায় । রাজনৈতিক ময়দানেও একজন আরেকজনকে প্রয়োজনে খুব পর্যন্ত করে ফেলে শুধু নিজে প্রতিযোগিতায় আগিয়ে  যাবার জন্য । বিজনেসেও এই প্রতিযগিতা বিদ্যমান । আপনি যে পণ্য বা সেবা নিয়ে মার্কেটে আসতে চাচ্ছেন আগে সেই মার্কেট যাচাই করে নিন । আপনার প্রতিযোগী কারা ? তারা কেমন করছে ? কিভাবে করছে ? আপনি তাদের সাথে তিখতে পারবেন তোঁ ? আমি একদিন আকজঙ্কে পরামর্শ দেয়ার সময় প্রশ্ন করেছিলাম । যে মনে করেন আপনি গুগল ক্রম ব্রাউজারের চেয়েও খুব ভাল ব্রাউজার তৈরি করলেন । এখন আমার প্রশ্ন হল আপনি কি মনে করেন আপনি গুগল ক্রমকে পিছনে ফেলে বিজনেসে টিকে থাকতে পারবেন ? সে বলেছিল হা অবশই পারব কেন পারব না ? আমি বলেছিলাম যে না আপনি টিকতে পারবেন না । আর হা কেন টিকতে পারবেন না বলছি শুনুন । গুগল যখনি আপনার এই ব্রাউজার সম্পর্কে জানতে পারবে টার পরে হয়ত ১৫ দিনে না হলেও সরবচ ১ মাসের মধ্য আপনার কোড ডিজাইন সব তারা কপি করে ফেলটে পারবে এবং আপনার ব্রাউজারের সাথে সামান্য কিছু বাড়তি সুযোগ সুবিধে যোগ করে বাজারে ছাড়বে । আপনার ব্রাউজার খুব ভাল এই খবর মানুষের কান পর্যন্ত পউছার আগেই গুগলের নতুন ব্রাউজার আবার বিশ্ব মাত করে ফেলবে  । আমাদের দেশে জারা অনলাইন শপ দিয়ে অ্যামাজন হতে চান তাদের খেত্রেও আমার আকি বক্তব্য  । আমাদের দেশে হয় অ্যামাজন আসবে নয় অ্যামাজন সৃষ্টি হবে কিন্তু সে সৃষ্টি হাজার বা লাখ টাকায় না  এটা হতে হলে খরচ করতে হবে কোটি কোটি টাকা । সুতরাং আপনি যে বিজনেস শুরু করছেন ভেবে দেখুন আপনার প্রতিযগি কারা । আপনি তাদের সাথে মার্কেটিং ও পণ্য বা সেবার গুণগত মানের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারবেন  কি না ?

 

৫। দাম-

কম টাকায় ভাল পণ্য এটা পৃথিবীর সকল গ্রাহকের খেত্রে প্রযোজ্য । গ্রাহক কোন কিছু কেনার সময় ১০০ টাকা খরচ করার আগে ১০০ বার ভেবে দেখবে যে এই ১০০ টাকায় কোথায় থেকে কিনলে সে সবচেয়ে ভাল মানের, দীর্ঘস্থায়ী কুয়ালিটি পণ্য কিনতে পাবে । আমি আমাদের এলাকায় বাজার করা ব্যাগের কারখানা দিয়েছিলাম । ব্যাগ তৈরি থেকে শুরু করে বিক্রি করা পর্যন্ত সব যায়গায় ঠিক ছিল কিন্তু মাল পাইকারি বিক্রির সময় বিপদে পরে গেলাম । যারা মাল পাইকারি কিনে নিয়ে যেত তখন ল্ভ হট কিন্তু আমরা নিজ খরচে গাড়িতে করে লোক পাথিয়ে যখন প্রতি জেলায় জেলায় সেই ব্যাগ বিক্রি করতে গেলাম আমাদের পরিবিহন খরচ বেরে গেল । সেই অতিরিক্ত  পরিবহন ও করমচারির বেতন ব্যাগের দামের সাথে যোগ করার পরে বিক্রি ব্যাগের দাম বেরে গেল । কিন্তু সেই বাড়তি দামে কেউ ব্যাগ নিতে চায় না । পরে বাধ্য হয়ে লস দিয়ে ব্যাগ কমদামে বিক্রি করে সেই কারখানা ২০১৬ সালে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলাম । সুতরাং কোন কিছু মার্কেটে আনার আগে ভেবে দেখবেন আপনার পণ্যর দাম বর্তমানের একই অন্য সব পন্নের সাথে দামের প্রতিযোগিতায় তিক্তে পারবে কি না ।

 

 

৬। খারাপ পণ্য বা সেবা –

কয়েকশ ফোন কোম্পানি আছে কিন্তু খুব ভাল মানের পণ্য তৈরি করার জন্য আমরা সামসাং ও অ্যাপলের নাম সবাই জানি । দাম বেশি হউয়া সত্তেও জাপানি পুরাতন রিকন্দিসন টয়োটা গারির চাহিদা সস্তা ইন্ডিয়ান টাটার চেয়ে অনেক বেশি । বাজারে আমার পরিচিত এক ছেলে সব্জির বেবসা করে । একদিন আলু, পটল, কাঁচা মরিচ,  বেগুন ও একটা লাউ আনেছিলাম ।  মরিচে কোন ঝাল ছিল না, একেবারেই বাচ্চা মরিচ দাম বেশি পাবার আসায় ঝাল হউয়ার আগেই তুলে আনেছিল, বেগুনের প্রায় অর্ধেক ছিল পচা, মা বাজার দেখে অনেক  রাগ করেছিল –  গত ৪ বছর হল  ওই দোকান থেকে আর কোন কিছু কেনা হয় নি হয়ত কনদিন  হবেও না ।  গ্রামীণ ফনের কল রেট ও নেট বিল অতিরিক্ত নেয়ার অভিযোগ ছিল, নাম্বার ঠিক রেখে ক্যারিয়ার পরিবর্তনের সুযোগ আসলে সব চেয়ে বেশি গ্রাহক গ্রামীনফোন হারিয়েছিল  । সুতরাং খারাপ পণ্য বা সেবা নিয়ে আসলে সেটা মার্কেটে আসে সাফার করবে ।

৭। দুর্বল বিজনেস মডেল

বিজনেস শুরু করার আগেই আপনার বিজনেস প্লান থাকতে হবে যেখানে স্পষ্ট করে সব লেখা থাকবে যে কোম্পানি কবে থেকে কি কি  ভাবে মুনাফা বা রেভিনিউ আনতে থাকবে । অনেক খেত্রে মানুষ কল্পনা করে থাকে যে এভাবে টাকা আসবে কিন্তু বাস্তবে সেটা সম্ভব কি ন ?   মানুসে আসলে টাকা দিয়ে সেই পণ্য নেবে কি না আপনাকে গবেসনএ করে বের করতে হবে ।  যেমন আপনি হয়ত ভাব্লেন বাংলাদেশে আপনি সবাইকে বিজনেস পরামর্শ দেবেন আর লকে আপনাকে আসে টাকা দিয়ে যাবে তবে সেটা ভুল হবে । কারন আমাদের দেশের মানুষ টাকা দিয়ে বিজনেস পরামর্শ খুব একটা নিতে আগ্রহি না টার চেয়ে বরং আন্দাজে কোন বিজনেস শুরু করে ১০ লাখ টাকা লস দেবে কিন্তু ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহজে কেউ পরামর্শ বা তথ্য নিতে আগ্রহি নয় । আমাদের দেশে এই মুহুরত্তে এরকম বিজনেস মডেল আসলে টেকসই না । এইবার আপনার বিজনেসের দিকে ভেবে দেখুন আপনার বিজনেস মদেলতা কেমন ? মানুষ তাজা দেবে তোঁ ? রেভিনিউ আসবে তোঁ ?

৮। দুর্বল মার্কেটিং –

বর্তমান যুগে মার্কেটিং সব কিছু । মনে করেন আপনি এক কেজি স্বর্ণ ১০ টাকায় বিক্রি করবেন । অবশই সেটা ফাতা ফাতি অফার । জগতের যে কেউ জানলেই আপনার দোকান১ ১০ টাকা কেজি স্বর্ণ কিনতে হাজির হবে । কিন্তু যদি ব্যাপারটা এমন হল যে সেটা কেউ জানে না তবে কেউ কি আসবে আপনার দোকানে ? আসবে না । একদিন আমার এক শিক্ষক কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম সার  গ্রামীণ ফনের নাম সবাই জানার পরেও সারা দিন অরা এত টাকা বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ করে কেন ? সার বলেছিলন অরা তমাকে অদের নামতা মুখস্ত করাতে চায় যাতে করে তুমি সিম কিনতে গেলে তমার মাথার মধ্য বার বার অদের নামতি উচ্চাআরন হতে থাকে । ঠিক একই কারনে দুনিয়ার সব বাঘা বাঘা কোম্পানি গুলো প্রতি মিনিটে লাখ লাখ টাকা মারক্তিং এ খরচ করে যাচ্ছে । আপনার বিজনেসের মার্কেটিং খারাপ হলে আপনার বিজনেস বন্ধ হতে বাধ্য ।

৯। গ্রাহকদের উপেক্ষা কোড়া –

একসময় ঢাকার ইয়োলো কাব, সি এন জি ড্রাইভারেরা কোন পাসেঞ্জারকে গনায় ধরত না । মিতারে যেতে চাইত না । লোকজন এদের জালায় অসহায় ও অস্থির ছিল কিন্তু কোন দ্রাইভার পাত্তা দেয় নি । উবার , পাঠাও , ওভাই মারকীতে আসার পরে জন্মের শিক্ষা পেয়েছে । এখন আর ভাড়ায় চালিত গাড়ি গুলো ভাব ধরে না । কিন্তু তারা তাদের  মার্কেট শেয়ার তারা ঠিকি হারিয়েছে । রাইদ শেয়ারিং কোম্পানি গুলোর কাছে বাস খেয়েছে । গ্রাহক চায় স্মার্ট ফোন কিন্তু নোকিয়া আগের মতই কোন পরিবর্তন না এনে বতাম ওয়ালা ফোন তৈরি করে যাচ্ছিল – পরিনামে কি হয় সেটা আপ্নারা সবাই জানেন । অ্যামেরিকান ব্লাকবেরি  ফনের কপালেও আকি ঘটনা ঘটেছে । আপনাকে সবসময় আপনার গ্রাহকের মন বুঝতে হবে । গ্রাহকের কথা সুন্তে হবে ।

 

 

১০। সময়মত  পণ্য না আসা –

বাংলদেশে এক সময়ের নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড নোকিয়া  ছিল ।  বোতামের ফনের পরে  আসতে আসতে স্মার্ট ফোন মার্কেটে আসতে থাকে । অ্যাপল এই খেত্রে  সারা বিসসে নেতৃত্ব ভুমিকা পালন করে । অনেক দিন পরে অবসেসে নোকিয়া মার্কেটে স্মার্ট ফোন নিয়ে আসে । কিন্তু আসতে আসতে অনেক দেরি করে ফেলেছে ফলে এখন সামসাং, অ্যাপল, হুয়াও এসবের কাছে একসময়ের হিত ব্র্যান্ড এখন কোন পাত্তাই পাচ্ছে না । ঠিক আখই ভাবে সেসব বিজনেস সময় মোট আপডেট বা নতুনত্ত না আনতে পারবে স পিছিয়ে পরবে এবং যে কোম্পানি সময় মোট গ্রাহকের চাহিদা ও সুবিধে বিবেচনা করে পণ্য ও সেবা আনতে পারবে নিসছয় তারা আগিয়ে যাবে ।

 

১১। ফোকাশ / লক্ষ্য/ আগ্রহ  হারানো –

শুরুতে যে কোন উদ্যোগ বা বিজনেস মানুষ খুব আগ্রহ ও উদ্দিপনার সাথে শুরু করে । কিন্তু নানা কারনে বিজনেসে অনেক রকম সমস্যা আসতে থাকে । অনেক কিছুই নিজের প্লান পরিকল্পনা বা পচন্দ মত হতে চায় না । এরকম নানা কারনে অনেক সময় মানুষ বিরক্ত হয়ে বিজনেসের আসল লক্ষ বা ফোকাস হারিয়ে ফেলে ফলে সেই বিজনেস ২/৪ বছর পর লক্ষে পউছা তোঁ দুরের কথা সেই বিজনেস চালুই থাকে না । আগ্রহ হারানর ফলে অঙ্ক বিজনেস বন্ধ হয়ে যায় ।

১২। বিনিয়োগকারী ও টিমের  মধ্য অসামঞ্জস্যতা ।

অনেক সময় কোম্পানি বিজনেস প্লান মাফিক সব কিছু দেলিভেরি দিতে পারে না । অনেক সময় অনেক তারগেত মিস হয় । এতে করে অনেক সময় বিনিয়োগ কারি এবং পার্টনার বা ওয়ার্কিং টিমের মধ্য সন্দেহ, মতের অমিল ও তানা পরেন শুরু হয় । এমন কঠিন অবস্থার সম্মুখিন হলে অনেক সময় সেই বিজনেস রান করা আর সম্ভব হয় না ফলে অকালেই একটি বিজনেস মার্কেট থেকে হারিয়ে যায় ।

 

১৩। অনেক সময় ভুল দিকে পরিচালিত হউয়া –

 

আপনি বিজনেস শুরু করলেন এক ভাবে করার জন্য কিন্তু পরে আপনি সেই ট্রাক হারিয়ে নতুন কিছু করতে চাইলেন, কিন্তু দুরভাজ্ঞ যে আপনার সেই নতুন টার্গেট আপনার জন্য অনেক সময় বেরথতা বয়ে আনতে পারে ।  গ্রামে আপনি শুরু করলেন ভাতের হোটেল , বিজনেস খুব ভালই ছলছিল । পরে চিন্তা করলেন গ্রামের মানুষের ইনকাম বারছে ক একটা আইসক্রিম পার্লার ও ফাস্টফুড আর জন্য আলাদা একটা সাইদ চালু করার । চালু করলেন দেখা গেল   ২/১ মাস গ্রামের গরীব মানুষজন সখ করে অইসব কিনলেও পরে ফাস্ট ফুদ ও আইসক্রিম আর সেই মত চলছে না, কিন্তু দেখা গেল আপনি ততদিন ওই সেক্টরে ১০ লাখ বিনিয়োগ করে ফেলেছেন । অথচ এই তাকাতা আপনি ভাতের হতেলের পিচনে খরচ করলে হয়ত সেই বিজনেস ভাল চলত । অর্থাৎ আপনি একটু আলদা বা পরিবর্তন করতে গিয়ে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলেন  যা পরে ভুল প্রমানিত হল এবং আপনি খতর সম্মুখিন হলেন , এই কারনে অনেক বিজনেস আছে যা মূলধন হারিয়ে মার্কেট থেকে বিদায়  নিতে বাধ্য হয় । পতন ঘতে একটি নক্ষত্রের ।

১৫। ভূল জায়গা –

বিজনেসের জন্য লোকেশন একটা মারাত্তক  বিষয়  ।  বিশেষ করে খুচরা বিক্রির বিজনেস গুলো খুব মারাত্তক একটা জিনিস । আপনার লোকেশন যদি গ্রাহকের কাছে , নাগালের মদ্ধ, সহজ , দ্রুত ও নিরাপদ না হয় মানুষ আপনার প্রতিষ্ঠানে যাবে না । এছাড়া একেক এলাকা একেক বিজনেসের জন্য বিখ্যাত আপনাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । কাপরের পাইকারি দোকানের জন্য ইস্লাম্পুর, বাবুবাজার যেমন বিখ্যাত ঠিক তেমনি গারির পার্টস আর জন্য ধলাইখাল তেমনই বিখ্যাত । আপনি পারতসের দোকান দিতে চাইলে ধলাই খালের  চেয়ে সেরা জায়গা বাংলাদীশে আর নাই । এছাড়া কর্নার দোকান , ৪ রাস্তার মরের দোকান সব সময় ভাল চলে এসব জিনিস আপনাকে বুঝতে হবে । মাছের বাজারে মাছের দোকান না দিয়ে কাপরের দোকান দিলে আপনার দোকান ভাল চলবে না ।  কয়েকশ রাতস্তার মর ও কর্নার পজিশন খুব ভাল বলে প্রায় সব বাঙ্কের শাখা গুলই কর্নার বা কয়েকটি রাস্তার মোড়ে হয়ে থাকে ।

১৫। ব্যাংক বা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কারণে ।

ব্যাংক ও বিনিয়োগ কারি গন সবসময় তাদের বিনিয়োগের সুরক্ষা ও মুনাফার কথা চিন্তা করে । কখনও তারা যদি মনে করে যে তাদের বিনিয়োগ ঝুকির মধ্য পইরছে অথবা কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্য কোম্পানি মুনাফায় আসতে বারথ হচ্ছে তখন তারা তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করে ফেলে । একটা মানুষের হৃদপিণ্ড   বন্ধ হলে যেমন মানুস্তি আর বাচে না ঠিক তেমনই বিনিয়োগ কারিদের স্বার্থ রক্ষা করতে না পারলে সেই কোম্পানি সাথে সাথে হার্ট আতাক করে ফলে একটি বিজনেসের মিত্তু হয় ।

১৬। আইনগত সমস্যা  ।

আজকাল দুনিয়া আগের চেয়ে অনেক জটিল । আইন কানুনের শেষ নাই । অনেক সময় অনেক আইনের কারনে অনেক বিজনেস অনেক দেশে চলতে পারে না । সেহেতু আপনি য বিজনেস শুরু করতে চাচ্ছেন আগে ভাল করে খজ নিয়ে দেখুন দসের প্রচলিত আইনে সেই বিজনেস বৈধ বা আইন সিদ্ধ কি না । যেমন অ্যামেরিকার ভেগাসে দেহ বাবসা বৈধ ও জমজমাট হলেও বাংলাদেশে এমন কিছু আপনার  চিন্তা করাও ঠিক হবে না ।  এছাড়া অনেক সময় অনেক কোম্পানির প্যাটার্ন, কপি রাইট এসব চুরি বা কপি করার ফলে আদালত উদাহরন সরূপ সাস্তি আরক হিসেবে মিলিওন মিলিওন ডলার জরিমানা করতে পারে । অনেক কোম্পানি সেই জরিমানার দায় মেটাতে গিয়ে বিজনেস  বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ।

১৭। কোন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের শাহাজ্জো না ণেয়া ।

উদ্দগতা গন বা বিজনেস ম্যানেরা অনেক কাজের কাজি হলেও বাস্তব জিবনে কোন মানুষই সব কাজের অস্তাদ হতে পারে না । ফলে একজন মানুষ সব কিছুই খুব ভাল জানবে বা বুঝবে ব্যাপারটা এমন নয় । একটা বিজনেসের বিজনেস প্লান, হিসেব, বাবস্থাপনা, বিনিয়োগ, গ্রথ সহ নানা বিষয় গুলো একসাথে নিয়ে একটি বিজনেস চলতে থাকে , অনেক সময় একজন খুব ভাল উদ্দগতা অনেক সময় হিসেবে কাঁচা হতে পারে অথবা হিসেবে ভাল কিন্তু ব্রান্দিং বা মার্কেটিং এ দুর্বল হতে পারে । কিন্তু আমাদের দেশের অনেক উদ্দগতাই সাধারণত কোন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বা বেক্তির থেকে সেবা বা পরামর্শ নিতে অভভাস্ত নন । নিজের মোট তেরামি বা সব্জান্তা সমসের হয়ে পরাজয় মেনে নিতে হয় , বিজনেসটি বেরথ হয়ে যায় ।

১৮। অতিরিক্ত চাপ ও ক্লান্তি –

উদ্যোক্তা তাদের প্রিয় উদ্যোগ শুরু করার পরে রাত দিন কাজ করতে করতে নিজের দিকে খেয়াল রাখতে আকদম ভুলে যায় । অনেক সময় নিজের সরিরের যত্ন নিত ভুলে যায়। ঘণ্টার পর ঘন্তা কাজ করতে করতে একসময় আর কুলিয়ে উত্তে পারে না ।  আলমেল আক্তার পরে আরেক্তা কাজ করতে করতে সে বিরক্ত ও ক্লান্ত হয়ে পরে তখন আসতে আসতে সে করম স্প্রিহা হারিয়ে ফেলে ইংলিশে আকে বলে বার্ন আউট । কাজ গুছিয়ে নিন, সাজিয়ে নিন, প্লান ও সিদিউল মিলিয়ে কাজ করুন, নিজের খেয়াল রাখুন, মাঝে মাঝে একটু অবসরে জান যাতে আপনাকে এমন পরিস্থিতিতে না পরতে হয় ।

১৯। পরিবর্তন হতে বেরথ  হওয়া –

আপনি বিজনেস প্লান একটা করে শুরু করবেন পরে দেখবেন টার অনেক্ম কিছু প্লান মত হবে না । অনেক কিছুই নতুন করে একটা আলাদা করে শুরু করতে হবে বা একটু পরিবর্তন বা পরিবরধন মেনে নিতে হবে । যেমন আপনি হয়ত ভাব্লেন যে মাছের পুকুরের উপরে ঘর করে মুরগির খামার করবেন কিন্তু পরে দেখা গেল যে না এলাকায় মুরগির  চাহিদা কম বা মুরগির অনেক রগবালাই হচ্ছে তখন আপনার কোম্পানি সিদ্ধান্ত নিল যে না সেখানে মুরগি না মুরগির পরিবর্তে সেখানে হাসের খামার করবে । এই যে পরিবর্তন অনেকে আছে বিজনেস শুরু করাআর পরে এই পরিবর্তন গুলো দ্রুত করত পারে না । আপ্নারা হয়ত জেনে অবাক হবেন যে ইন্সতাগ্রাম কিন্তু শুরু হয়েছিল কোন লোকেশন চেক ইন হিসেবে কিন্তু পরে তারা  সোশ্যাল মিডিয়ায় রুপ নেয় ।  আপনি আপনার অনেক বিজনেস শুরু করবেন একটা ভেবে কিন্তু পরে অনেক কিছুই একটু একটু পরিবর্তন হয় বা করে নিতে হয় যা অনেকেই করতে পারে না বেরথ হয় তখন তারা মার্কেট থেকে ঝরে পরে  ।

২১। বাকি –

একেবারে নগদ বিক্রি –

আমি বেক্তিগত ভাবে খুব করে মনে প্রানে বিশ্বাস করি যে , বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক  বিজনেস বন্ধ হয়ে যায় শুধু বাকি দেয়ার জন্য । মনে করেন আপনি একটি মেসিন  ৮০০ টাকায় কনে ১০০০ টাকায় বিক্রি করেন । প্রতি মাসে আপনার মোট বিক্রি হয় ১০০ জন গ্রাহকের নিকট ১০০ টি বিক্রি হয়  । এখানে নগদে মানুষ কেনে সতকরা ৩০% মানুষ । অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনের মধ্য মোট ৩০ জন গ্রাহক কোন প্রকার বাকি ছাড়া নগদ মুলো পরিশোধ করে কিনে নিয়ে গেল । এই ৩০ জন হতে ২০০ টাকা করে লাভ করলে আপনার মোট লাভ হবে ৬ হাজার টাকা ।

একেবারে বাকি বিক্রি –

খুব পরিচিত এমন কিছু লোক যারা আপনার থেকে কোন প্রকার টাকা দিয়ে সম্পূর্ণ রুপে বাকি নিয়ে গেল ২০ জন গ্রাহক এখান আপনার মোট বাকি গেল ২০ হাজার টাকা । । মনে করেন বাকি নেয়ার পরে ৪০% লোক আপনার বাকির টাকা ফেরত দিল সেই হিসেবে  আপনার লাভ হল ৮ জন গ্রাহক থেকে ২০০ টাকা করে হলে মোট লাভ হবে ১ হাজার ৬০০ টাকা । কিন্তু  খুব পরিচিত বাকি ১২ জন আপনার বাকি দেয়া ৫০০ টাকার সম্পূর্ণ টাকাই মেরে দিল ফলে এই ২০ জনের কাছে আপনার বাকি বিক্রি করার ফলে লাভের পরিবর্তে উল্টা আপনার চালান খাত্তি গেল ১৬০০ লাভ- ৩৬০০ লস= ২ হাজার টাকা ক্যাশ লস । আপনি ক্যাশ টাকা হারালেন ২ হাজার টাকা

কিছু নগদ কিছু বাকি বিক্রি

মোটামুটি পরিচিত এলাকার আরও  চেনা ৫০ জন গ্রাহক ওই আরও ৫০ টি মেসিন  কিনতে আসে নগদ ৫০০ টাকা দিয়ে বাকি ৫০০  টাকা বিকেল বেলা, আগামি কাল, হাটের দিন, সাম্নের সপ্তাহ এমন নানা রকম তারিখ দিয়ে বাকি  নিয়ে গেল মোট ২৫ হাজার টাকা । মনে করেন বাকি নেয়ার পরে ৪০% লোক আপনার বাকির টাকা ফেরত দিল সেই হিসেবে   এই ৫০ জনের মধ্য ২০ জন গ্রাহক প্নাকে ঠিক মত টাকা ফেরত দেয়ায় লাভ করলেন ২০ জন থেকে ২০০ টাকা করে ৪ হাজার টাকা । কিন্তু বাকি ৩০ জন গ্রাহক আপনার মূলধন থেকে ৩০০ টাকা মেরে দিল ফলে আপনার এই ৩০ জনের নিকট লস হল ৩০ জন লকে ৩০০ টাকা করে মেরে দিল মোট ৯ হাজার টাকা । অর্থাৎ এই ৫০ জন গ্রাহকে কাছে বিক্র ও আদায় করা পরে আপনার ( লাভ ৪ হাজার – লস ৯ হাজার) = লস হল ৫ হাজার টাকা ।

এইবার হিসেবে আসেন । একেবারে নগদে বিক্রি করে আপনার মুনাফা হল ৬ হাজার টাকা । কিন্তু সম্পূর্ণ বাকি ও কিছু নগদ কিছু বাকি বিক্রি করে এই দুই  ভাবে আপনার লস হল (২+৫)=৭ হাজার টাকা  । এখন কল্পনা করতে থাকে প্রতি মাসে ১০০ টি মেসিন   ৮০০ টাকায় কিনে ১০০০ টাকায় অর্থাৎ প্রতি পিসে ২০০ টাকা লাভে  বিক্রি করার পরেও  শুধু বাকি দেয়ার কারনে ১০০ পিস মেসিন  হতে মোট ২০ হাজার টাকা লাভ হবার পরিবর্তে উল্টা আপনার প্রতি মাসে লস হচ্ছে ১ হাজার করে টাকা । এই বার কল্পনা করেন আপনার যদি ১০০ মেসিনের  পরিবর্তে প্রতি মাসে ১০০০ এমন মেসিন  বিক্রি করেন তাহলে আপনার প্রতি মাসে লস হবে ১০ হাজার টাকা ।

Join The Discussion

Compare listings

Compare