প্রশ্ন – কিছু মানুষ কিভাবে নিজের দোষে গরীব হয় বা গরীব হয়েই থাকে ?
আমরা প্রায় বলতে শুনি যে কপাল গরীব, আল্লাহ গরীব বানাইছে তার কি করার আছে ? কিন্তু আমেরিকার আকদম গবেসক দীর্ঘদিন গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে মানুষ আসলে নিজের দোষেই প্রায় ৯০% সময় গরীব হয়ে থাকেন । এই লেখা পরার পরে আমি নিজেও দীর্ঘদিন অনেক গরীব মানুষের আয় বায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের চিন্তা ভাবনা আচার আচরন খেয়াল করার চেষ্টা করেছি এবং আমি নিজের চখেই দেখতে পাচ্চি যে হা মানুষ আসলেই নিজের কারনেই গরীব হয় । হয়ত বলবেন আমি গরীব ঘরে জন্মেছি সেক্ষেত্রে আমি বলব গরীব ঘরে জন্মের খেত্রে আপনার কিছুই হয়ত করার থাকে না কিন্তু আপনার অবস্থার পরিবরতনের জন্য আপনার করার মত অনেক কিচঝুই থাকে । পুরা লেখাতা পরলে নিজেও আরও পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারবেন । আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি যে মানুষ গরীব হয় তার নিজের চিন্তা ভাবনা ও ভুল কাজ করমের কারনে , এর পক্ষে আমি গরীব মানুষদের কিছু বাস্তব কিছু চিন্তা ধারা, ও কাজ করম তুলে ধরছি, যার কারনে তারা গরীব হয়ে যায় বা গরীব থেকে যায় ।
১। টাকা পয়সা ভাল জিনিস না –
আপনি খুব গরীব মানুষদের সাথে কথা বলে বা মিসে দেখবেন আনাদের মধ্যে টাকা এবং ধনী মানুষদের প্রতি এক প্রকারের নেগেটিভ ধারনা বিরাজ করে । অতিরিক্ত ধন সম্পদ ভাল না, টাকা পয়সা যত কম তত ভাল, বেশি টাকা পয়সার মধ্য সুখ নাই আরক নানা নেগেটিভ কথা আপনি সুন্তে পারবেন ফলে তারা আসলে সম্পদশালী হবার চিন্তা করে না । ধন সম্পদের প্রতি মোহ বা চেষ্টা খুব কো দেখা যায়, যদিও মুখে মুখে সবাই বরল হতে চায় । বাস্তব জিবনে অনেক চেষ্টা ক্রেও যখন ধন সম্পদ অর্জন খুব কঠিন মনে হয় তখন এমন চিন্তা ধারার মানুষদের পক্ষে সম্পদশালী হউয়া কি আসলে সম্ভব ? কখনই সম্ভব না ।
২। বিজনেস না করা –
গরীব মানুষদের মধ্য বিজনেস করার মানসিকতা আকদম কম । শুধু গরীব কেন অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার ও সন্তান্দের বিজনেস করতে বাধা দেয় । সবাই চাকুরি করার জন্য চাপ দেয় কিংবা জব করাকে সবচেয়ে ভাল বা সম্মান জনক মনে করেন । যখন পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ সম্পদশালী লোকজন বিজনেস ম্যান, তখন জব করে নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন খুব একটা সহজ নয় । চাকুরি করে আপনি খেয়ে পরে বাঁচতে পারবেন কিন্তু কোনদিনই অগাধ সম্পদের মালিক হতে পারবেন না । হয়ত ভাবছেন সরকারি চাকুরি করলে অনেক টাকা । কিন্তু না , ঘুষ দুর্নীতি ছাড়া আপনি কখনও অনেক টাকা চোখে দেখবেন না , আর আকাম কুকাম করে অল্প সময়ের মধ্য অনেক সম্পদ অর্জন করতে পারলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় ও আইনের যাত্রাকলে অনেকে চোখের সামনে নিমিষে শেষ হতে দেখেছি । সুতরাং কোটি কোটি টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে বিজনেসে আসতে হবে । অনেকেই , হোটেল, সবজি দোকানদার, বিরিয়ানি, কাপড়ের দোকানের দিয়ে ঢাকা শহরে নিজের বাড়ি গাড়ি করেছে । আপনি হয়ত ভাবছেন গরীব মানুষ বিজনেস করার টাকা পবে কই ? আমি বলছি ১০/২০ হাজার টাকা নিয়েও অঙ্ক বিজনেস করা যায় । আসল কথা হল বিজনেস করে না বা করতে চায় না বা করতে পারে না যাই বলেন না কেন । আসলে বিজনেস ন করার কারনে গরীব আজীবন গরিবি থেকে যায় । সমাজের বেশিরভাগ সচ্ছল মানুষজন বিজনেস করেন ।
৩। সফল মানুষের সাথে না চলা –
বলা হয়ে থাকে আপনি যেমন মানুষদের সাথে চলবেন আপনার মধ্য সেসকল মানুষদের জ্ঞান বুদ্ধি ও স্বভাব চলে আসবে । আপনি অবচেতন মনে তাদের অনেক কিছু শিখে ফেলবেন । উপদেস থাকে যে আপনি সম্পদশালী হতে চাইলে সম্পদ আছে এমন মানুষদের সাথে চলতে হবে কিন্তু বেশিরভাগ গরীব মানুষ আরও সব গরিবের সাথে সবসময় চলাফেরার কারন বিত্তবান্দের পাশে চলার সুযোগ নেয়া থেকে বঞ্চিত করে নিজেদেরকে । টাকা কিভাবে আয় করতে হয় জানতে হলে জার টাকা আআআছে তার সাথে চলতে হবে কিন্তু তা না করে তারা গরিবের সাথে মিসে তাদের চিন্তা ভাবনা, খরচ করার অভ্যাস, ধার কর্জ করার মত বধ অভভাসে অভ্যাস হয় ফলে তার চিন্তা ভাবনার পরিবরতন আসে না । বরলক হউয়াকি কি এতই সজা ? টাই কপালে এর সম্পদ জতে না ।
৬। ঋণ করা-
যারা ধার করে খরচ করে তারা কামাই করে সারাজীবন শুধু সেই ঋণ সধ করতে করতেই শেষ করে ফেলে । সঞ্চয় করা কখনই হয়ে ওঠে না । কিন্তু গরীব মানুষদের জীবন যাত্রা পরজালচনা করে দেখা যায় তারা সঞ্চয় না করে ঋণ করে হলেও টিভি, ফ্রিজ বা ভাল আসবাব পত্র কিনতে চেষ্টা করে ফলে যে সামান্য টাকা তারা হয়ত সঞ্চয় করতে পারত তা করা হয় না । এই ধা করে খরচ করার জন্য জগতের অধিকাং মানুষ আজীবন গরীব থাকে । ধার কর চললে আপনি কোনদিন সম্পদশালী হতে পারবেন না ।
৭।সঞ্চয় না করা –
অরথনিতির সফল মানুষেরা বলেন আপনার মাসিক আয়ের একটা অংস আপনাকে সঞ্চয় করতে হবে এবং সেই সঞ্চয় আবার সথিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারলে তবেই আপনার সম্পদ বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ আপনার টাকা যখন আপনার জন্য টাকা ইনকাম করবে তখন আপনি ধিরে ধিরে সম্পদশালী হয়ে উঠবেন । কিন্তু গরীব মানুষেরা সঞ্চয় করতে আকদম রাজি না টাই তাদের ভাগ্যের পরিবরতন ও ঘটে না । তাদের ধারনা খেয়ে দেয়ে যা বাচে , আজ মরলে সব পরে থাকবে কার জন্য কি রেখে জাব ? ারে বাবা আপনার কি রেখে যাবার মত অনেক কিছু আছে ? নাই । আসলে সঞ্চয় করার অভ্যাস তার নাই – টো সম্পদ হবে কেম্নে ?
৭। আয়ের চেয়ে বেশি বায় করা –
আমি এমন লোক দেখেছি যে লোক সারাদিন কাজ করে ৪০০ টাকা আয় করে বিকেল বেলা ৪০০ টাকার মাছ কিনতে দেখেছি । আমার প্রশ্ন হল ৪০০ টাকা খুব কম টাকা কিন্তু টাই বলে কি আপনি আকদিনের আয়ের সম্পুরন টাকা দিয়ে একটি মাছ কিনবেন ? আমি অনেক গরীব মানুষ দেখেছি জারা যা আয় করে পুরতাই খরচ করে এবং সেটা আবার গরব করে প্রচার করে নিজেকে বড় প্রমান করার চেষ্টা করে । ১০ কোটি টাকার মালিক সামরথ থাকা সত্তেও ২০ লাখ টাকার পুরাতন গাড়িতে চলা ফেরা করে অথচ অনেক গরীব ম,আনুস্কে আমি গ্রামে বাড়ির পাসের ৫ শতক ধানের জমি বিক্রি করে বাইক কিনতে দেখেছি । স্বাস্থ্য সচেতন শিক্ষিত বরল যেখানে সপ্তাহে ১ দিন গরুর মাংস খায় সেখানে আমাদের এলাকার এক মানুষকে আমি খুব ভাল করে চিনি যিনি ধার করে হলে সপ্তাহে ৩ দিন গরুর মাংস কিনেন তাও আবার ১ কেজি না কিনলেই ২/৩ কেজি, অথচ তার সমিতি থেকে লোণ নেয়া আছে ২ লাখ টাকা । এলাকার দকানে বাকি আছে প্রায় ৪০ হাজার । সবজি বিক্রেতা পাবে প্রায় ১০ হাজার টাকা যা সে সধ করতে পাচ্ছে না ।
৮। বাড়িতে বেশি বিনিয়োগ করব না ।
সুন্দর বাড়ি কার না ভাল লাগে । কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ যারা শহরের তারা বাসা ভাড়ায় অনেক বেশি টাকা ব্যয় করে এবং যারা গ্রামে তারা অনেক বেশি টাকা দিয়ে বাসা তৈরি করে যা অত্যান্ত ভুল বিনিয়োগ । অর্থনৈতিক গুরুদের মতে মাসিক ইনকামের ২০% এর নিচে আপনার বাসা ভাড়ায় বা বাড়িতে বিনিয়োগ করবেন কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ প্রায় ৩০%-৫০% খরচ করে ফেলে আর গ্রামের কিছু মানুষ জমি বিক্রি করে বাড়ি করে, কেউ কেউ ধার দেনা করে ।অনেকে ১০/১৫ বছর বিদেশ খেটে দেশে এসে গ্রামের মধ্য ৩ তালা বাড়ি করে পরিনামে ১৫ বছর আগে যা ছিল তাই থেকে যায় । মনে রাখবেন গ্রামের বাড়ি সেটা যতই সুন্দর হউক না কেন আপনাকে কামাই করে খাওয়াবে না বরং বছর বছর বাসা মেরামতের পিছনে অনেক টাকা খরচ করতে হবে । অনেকে মনে করে গ্রামে বাসা ভাড়া দিয়ে আয় করবে, কিন্তু ভাড়া বাবদ সামান্য টাকা পেলেও গ্রামে বাড়ি ভাড়া কখনই লাভ জনক নয়, ইহা একটি চরম আকারের বোকামি ছাড়া কিছুই না আর আমাদের দেশে এই বোকার সংখ্যা কয়েক কোটি । বাড়ির পিছনে এই টাকা বিনিয়োগ না করে যদি জমি কেনা বা কোন বিজনেসে বিনিয়োগ করতো তবে অনেকেই কোটিপতি হতে পারতো কিন্তু তারা এটা করে না । ফলে সামরথের অধিক টাকা বাড়িতে বন্ধ হয়ে যায় । সম্পদশালী হবার সুযোগ হাতে পেয়েও নিজের ভাগ্য বদলাতে পারে না ।
৯। চিন্তা ভাবনার কারনে –
যেমন “আজ মরলে কাল ২ দিন” – বুঝলাম আজকে মরলে কাল ২ দিন কিন্তু আজকে যদি না মরেন ? আর আপনি আজকে মরবেন এই খবর কে দিছে আপনারে ? এসব হল যারা ব্যর্থ মানুষ তাদের জন্য হতাশায় ভরা মিথ্যা সান্তনা । বছরে ৩৬৫ দিন ৭০ বছর বাচলে আপনার জীবনে এমন দিন আসবে মোট ২৫ হাজার ৫৫০ বার আর সারা জীবনে আপনি মারা যাবেন ১ বার অর্থাৎ মারা যাবার জন্য আপনি মাত্র একটি দিন সুযোগ পাবেন । সুতরাং আপনাকে ধরে নিতে হবে আপনি আজকে মারা যাচ্ছেন না সুতরাং কাল কি খাবেন সে হিসাব আপনাকে আজকেই করতে হবে । “খায়া দায়া যা বাঁচে, রাত পহালে আল্লাহ আছে” সমাজে প্রচলিত এমন কিছু কথা আছে যা মানুষকে গরীব হতে সাহায্য করে । আমি অসংখ্য পরহেজগার ও ভাল সুন্দর মনের মানুষ চিনি অভাব যাদের নিত্য সঙ্গী, ঘরে চাল নাই, মাথার উপরে চাল নাই । পকেটে টাকা নাই । গোয়ালে গরু নাই, ব্যাংকে টাকা নাই শুধু নাই আর নাই । – কর্মই মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে সুতরাং সব আজকে ভোগ বিলাসে শেষ করলে আগামীকাল আপনাকে চরম অভাবে পরতে হবে । আপনার আশেপাশে এমন অনেক পরিচিত লোক পাবেন যাদের ১০/২০ বছর আগে বাপ দাদার অনেক সম্পদ ছিল – বিক্রি করে খাইতে খাইতে এখন আর কিছুই নাই । সুতরাং আপনাকে আগামী দিনের চিন্তা করেই আজকে খরচ করতে হবে, কিন্তু কিছু মানুষ এসব কোনদিন ভাবে না ।
১০। দক্ষতা অর্জনে অনীহা –
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ একেবারেই অদক্ষ । অনার্স মাস্টার্স শেষ নাই কিন্তু বিশেষ কোন কাজে দক্ষ এমন মানুষ খুঁজলেও পাবেন না । আপনি অফিসে কেরানি, পিওন, ঝারুদার, দারওয়ান নিতে চাইলে লাখ লাখ মানুষ পাবেন কিন্তু বিশেষ কোন কাজে দক্ষ লোক যেমন – পিএইসপি ওয়েব ডেভলপার, এক্সেল, ফটোশপ, গ্রাফিক্স জানা লোক চাইলেও কয়েক’শ খুঁজে পাবেন না । ফলে বেশিরভাগ লোক খুব অল্প বেতনের কাজ করে ফলে তাদের দারিদ্রতা কখনই পিছু ছারে না । সফল মানুষেরা সময়, অর্থ ও শক্তি ব্যয় করে সমসময় নিজেকে আপডেট ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য । আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে, কঠিন, ঝুঁকিপূর্ণ এবং সবাই সহজে করতে চায় না বা করতে পারে না এমন পেশা আপনাকে বেছে নিতে হবে । বেশি বেতনের জব অবশ্যই অনেক দায়িত্ব ও চাপ যুক্ত হয়ে থাকে কিন্তু আপনাকে এই চাপ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে । আপনি নিজেই আপনার সবচেয়ে বর সম্পদ । মেধাবী মানুষেরা নিজেকে প্রয়োজনীয় নানা গুনে গুণান্বিত ও পারদর্শী করে ফেলে । কিন্তু কিছু মানুষ আছে তারা কোন কিছু সেখার জন্য ১ তা মাস ও বায় করতে রাজি না তার চেয়ে বরং দিনে ৪০০ টাকা পেলেই ভাল কিন্তু ৩ মাস ট্রেনিং নেয়া বা একটা কাজ সেখার পরে যে দিনে ১০০০ টাকা আয় করা সম্ভব এই বুঝ বা ধরজ টুকু তাদের নাই ফলে এমন মানুষজন আজীবন গরীব থাকে ।
১১। অতিরিক্ত কাজ না করা –
অনেক সম্পদশালী মানুষ আছেন জারা দিনের পরে দিন রাতের পরে রাত এক তানা কাজ করে জাচ্ছেন । সুন্দর বিছানা থাকলে ঘুমাচ্চেন না । অনেকে ১ তা জবের পাশাপাশি আরেক্তা পারত তাইম জব করছেন, কেউ ১ তা বিজনেসে বসে না থেকে ৩/৪ তা বিজনেস করছেন । সামর্থ্য থাকলে বিকেলে আদ্দায় সময় নষ্ট করছেন না । কিন্তু আপনি কিছু মানুষ পাবেন যারা ঘরে ৭ দিনের খাবার আর পকেটে ২ হাজার টাকা থাকলে, ওই ২ হাজার টাকা না ফুরান পর্যন্ত কাজ করবে না । বুঝেন এইবার এরা কেমন মানুষ ? কেম্নে তাদের উন্নতি হবে ?
১২। ভবিষ্যতের কথা না ভাবা –
অনেক মানুষ আছে যারা চায় কি করে এখনি খুব ভাল থাকা যায় ? কি করে এখনি যা যা দরকার সব পাওয়া যায় পরিণামে তারা কখনই অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে না । অনেক মানুষ বিয়ের পরেই এবং বাচ্চা হবার আগেই মাসে ৫০০ টাকা জমা করে রাখে তাদের বাচ্চার লেখাপড়ার খরচ হিসেবে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু এমন কাজ করে না । যে মানুষগুলো এমন করে সমসময় ভবিষ্যতের চিন্তা করে কাজ করে তারা নিশ্চিত ভাবে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করে । আর বেশিরভাগ মানুষ ভবিসসইতের কথা ভেবে চলে না ফলে সঞ্চয়, বিনিয়োগ, বিপদের সময়ের জন্য ফান্ড এসবের ব্যাপারে তারা কখনই খেয়াল; রাখেন না ফলে যা হবার টাই হয় দারিদ্রতা পিছু ছারে না ।
১৩। জরুরী তহবিল না করা-
জীবন সবসময় স্বাভাবিক নয় । কখন কোন বিপদ সামনে আসবে কেও জানে না । রোগ ব্যাধি, সড়ক দুর্ঘটনার মত বিপদ যেকোনো মানুষের যেকোনো সময় হতে পারে । আপনি খুঁজ নিয়া দেখতে পারেন দেশের ৯০% ইমারজেন্সি ফান্ড নেই । বাকি ১০% অনেক টাকার মালিক বলে হয়ত পার পেয়ে যায় কিন্তু এই বাকি ৯০% মানুষগুলো বিপদের দিনে নতুন করে ঋণের জালে আটকা পরে ফলে বড়োলোক সেতো কথার কথা আরও গরীব হতে থাকে । সম্পদশালী হউয়া কোন মুখের কথা না অনেক চেষ্টা করে হতে হয় । আর বেশিরভাগ মানুষ এই চেষ্টা করতে পারে না বা করে না ।
১৪। খরচ করতেঁ জানে না
টাকা সবাই খরচ করতে পারে এটা আবার জানার কি আছে ? কিন্তু না অনেক কিছু জানার আছে । প্রথমত অনেকেই জানে না তাঁর কি প্রয়োজন, কি কেনা উচিৎ , কি কেনা অনুচিত, কোথায় থেকে কিনলে ভাল জিনিস পাওয়া যাবে/ টিকবে বহুদিন, কোথায় কিনলে সাশ্রয়ী মূল্য কেনা যাবে , কখন কোন জিনিসের দাম কম থাকে ? কেনা কাটার অনেক কৌশল বা বিষয় বেশিরভাগ মানুষ জানে না ফলে অনেক সময় সঠিক দামে সঠিক জিনিস কিনতে ব্যর্থ হয়,কখনো বা বেশী দামে কিনে অর্থের অপচয় করে, কখনো বা খারাপ জিনিস কিনে টাকা নষ্ট করে । এছাড়া অনেক মানুষ খাওয়া দাওয়া, কসমেটিক্স পোশাক আশাক ফ্যাশনার জুয়েলারির, টিভি, আসবাবপত্র, গাড়ির জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে যার মূল্য কখনোই বাড়ে না । ফলে গরীব গরিবি থেকে যায় ।
১৫। অযথা খরচের অভ্যাস
প্রয়োজন নাই তবু সকালে হতেলে নাস্তা করবে, সারা দিন চা, পান সিগারেতের পিচনে কয়েক্স টাকা খরচ কবে এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গুনে শেষ করতে পারবেন না । আমি অনেক মানুষকে চিনি যে মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পায় কিন্তু ৪০ হাজার টাকা দামের ফোন ব্যাবহার করে, মাসে ফোনের পিছে খরচ করে আরও ২ হাজার টাকা । এছাড়া অনেকেই প্রতি বছর নতুন ফোন কিনে যা তার কোন দরকার নাই কিন্তু তবু নতুন ফোন নেয়া লাগবে । বুঝতেই পারছেন এমন লোকদের গরীব হওয়া কে ঠেকাবে হ্যাঁ ? কেউ না এরা কিয়ামত পর্যন্ত অভাবী হয়ে থাকবে অভাবী হয়ে মরবে । বেশিরভাগ ধনী মানুষ সামর্থ্য থাকা সত্তেও একটা লিমিটের মধ্য জীবন ধারন করে । টাকা থাকলেই সবাই ১০ কোটি টাকার গাড়ি কেনে না – ৩০০ কোটি টাকার মালিক বিপুল ধনসম্পদ ও সামর্থ্য থাকা সত্তেও মাত্র ১ কোটি টাকা দামের প্রাডো গাড়ি ব্যাবহার করে অথচ আমি নিজে এমন লোক কে চিনি যিনি ১ মাত্র সম্পদ ৫ শতক ধানের জমি বিক্রি করে বাইক কিনেছে – এমন লোকদের জন্য অভাব একমাত্র জীবন সঙ্গী ।
১৬ । আয়ের চেয়ে বেশি ব্যায়
ফকির হবার এক নাম্বার সমস্যা হল আয়ের চেয়ে বেশি বায় করা । এই কারনেই বেসিরভাগ মানুষ ও কোম্পানি দেউলিয়া হয় । এই সমস্যা থেকে বাচার একমাত্র উপায় হল আয় বুঝে বায় করা বা সামরথের মধ্যে জীবন ধারন করা কিন্তু বেসিরভাগ মানুষ এটা করতে বার্থ হয় । আয়ের চেয়ে বেশি বায় করার ফলে অনেক সফল সেলিব্রেতি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার বড় বড় কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যায় । অনেক কোম্পানি শুধু বেশি খরচ করে বলে লাভজনক হউয়া সত্তেও বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হয় । অনেকেই দুর্বল লস হচ্ছে এমন কোম্পানি কিনে নার পরে প্রথম যে কাজটি করে সেটা হল কম্পানির খরচ কমান । আমার পরিচিত অনেক সফল বাবসায়ি মানুষ শুধু আয়ের চেয়ে বেশি খরচের কারনে এখন ধার দেনায় জরজরিত হয়ে করুন অবস্থায় পরেছে নাম বললে তাদের সম্মান থাকবে না তাই নাম প্রকাস করলাম না । বুঝতেই পাচ্ছেন এইবার যে কিসের জন্য সমাজের বেশিরভাগ মানুষ গরীব ? কারন প্রায় বেশিরভাগ মানুষ আয়ের চেয়ে বেশি বায় করে থাকে ।
এই বার বুঝে নেন মানুষ কেন গরীব ? কেন গরীব হয় ? কেন গরীব হয়েই থাকে ? কেন উন্নতি করতে পারে না ? বুঝাতে পারলাম যদি না পারি তবে উপরের লেখা গুলো আবার পরার জন্য বিনিত অনুরধ করছি ।