প্রশ্ন – প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রিত ভবিষ্যতের ব্যাংকিং খাতের জন্য তৈরি তো ব্যাংকারা?
মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস দিচ্ছে ১৭টি ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং এ লেনদেন হচ্ছে প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি টাকা। একাউন্ট আছে ৫.৪৪ কোটি, এজেন্ট আছে ৭.৭ লাখের বেশি। সংখ্যা গুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটু খেয়াল করে দেখুন, এই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসে কোন ক্যাশ অফিসার আছে? বা রিলেশনশিপ ম্যানেজার বা ক্লায়েন্ট ম্যানেজার? নেই!
মোবাইল ব্যাংকিং এ ক্যাশ অফিসার বলেন, বা ক্লায়েন্ট ম্যানেজার, সবই আপনার এলাকার ফোনের দোকানের মেট্রিক পাশ না করা ছেলেটা। সেইই ক্যাশ রিসিভ আর পেমেন্ট করছে, সেইই একাউন্ট করছে। সে হিসাবে এই খাতে ৭.৭ লাখ অফিসার, যাদের শিক্ষাগত / পেশাগত যোগ্যতা দরকার নেই। তার মানে লাস্ট মাইল সার্ভিসে কোন শিক্ষিত কর্পোরএমপ্লয়ী নেই।
এই পরিবর্তনের কারণ হল প্রযুক্তির উন্নতি। প্রযুক্তি দিয়ে সহজ থেকে সহজতর সার্ভিস দিতে চাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি গুলো। যার ফলে অটোমেশন এবং সেল্ফ-সার্ভিসের মত বিষয় গুলো উঠে এসছে।
প্রযুক্তি দিয়ে ফাইন্যান্স খাতের এই পরিবর্তনের ফলে নতুন ইন্ডাস্ট্রির উৎপত্তি হয়েছে, যার নাম FinTech. ফিনটেক খাতে সবচেয়ে বড় কোম্পানির PayPal, যেটা ই-পেমেন্ট এবং অনলাইন ব্যাংকিং সার্ভিস দেয়, তাদের ভেলুয়েশন ৭০ বিলিয়ন ডলার বা ৫৬০ হাজার কোটি টাকা। ইন্ডিয়ার ই-পেমেন্ট এবং অনলাইন ব্যাংকিং কোম্পানি PayTM এর ভেলুয়েশন ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এদের মধ্যে কোন কোম্পানিরই কোন ব্যাংক শাখা নেই, তারপরও তারা হাজার কোটি টাকা লেনদেন করছে।
আমরা কি তৈরি হচ্ছি এই দ্রুত পরিবর্তনশীল খাতটির জন্য?
খবর রাখছি ফিনটেক কি, কিভাবে কাজ করে, কতটা গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে?
আমরা জানি ফিনটেকে কোন কোন যোগ্যতা প্রয়োজন হয়?
পাশের দেশের চেয়ে ধীরে হলেও আমাদের পরিবর্তনের দিকে আগাতে হবে!
নাহয় হয়ত দেশে ফিনটেক জোরেশোরে শুরু হলে টপ এক্সিকিউটিভ খুজে না পেয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করা শুরু হবে। এমনিতেই বিদেশীরা স্যালারি বাবদ ৭০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে।
চলুন, জানি, বুঝি, তৈরি হই।।
collected from- Shanjidul Alam Seban Shaan