প্রশ্ন – বেকারদের প্রেরনা দেয়ার মত আমার নিজের এলাকার দেখা কিছু বাস্তব ঘটনা ।
রফিকুল ভাই মাস্টার্স পাস একজন ছেলে কোন সরকারি জব হয় নাই । বাজারে সেলাই মেসিন নিয়ে আর ছোট সব ভাইদের নিয়ে একটা দর্জির দোকান দিয়েছে । এখন সব ভাইদের একটি করে কাপরের দোকান আছে। দোকান পাকা, বারিও পাকা করেছে । ধানের জমি কিনেছে মাসে আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা ।
হাবিবুল্লাহ এস এস সি পরিক্ষা দেয়ার কপাল হয় নাই । এলাকায় পল্লি বিদ্যুতের লাইনে কাজ করে । এলাকার সবার বাসায় বিদ্যুৎ সংজগ দেয়া । সেচ আর ডিব টিউবওয়েল আর সংযোগ, মতরের সংযোগ সব কাজ করে । এখন সাথে কয়েকি ছেলে রেখেছে নিজে সব কাজে যায় ও না । ১২ টা পাকা রুম সহ অনেক বড় বাড়ি করেছে । মাতি কাতার ২ টা ত্রাক্তার কিনেছিল । সেদিন সুনলাম বাজারের মধ্য অনেক দাম দিয়ে কয়েক শতক জমিও কিনেছে ।
মসাররফ আমাদের এলাকার একেবারে লেখাপরা না জানা একজন মানুষ । এক সময় মানুষের হোটেলে কাজ করত । এখন নিজে একটা হোটেল দিয়েছে । পাকা বাড়ি করেছে । ২/৩ টা মাছের পুকুর নিয়েছে মাছ চাশ করে । বাড়িতে গরুর খামার আছে । এলাকার সব লোক মসারফকে সম্মানের সাথে দেখে । মাসে ইনকাম প্রায় ১ লাখ টাকা ।
বুধু ভাই তিনি খুদ, গুরা বিক্রি করতেন । তারপরে ভুট্টা কিন বিক্রি করতেন । এখন মুরগির খামারের পাসা পাসি মাছ ছাস করেন । মাসে ইনকাম কত বলা যাবে না । তবে কয়েকটি ট্রাক, গ্রামে পাকা বাড়ি আর আনুমানিক ৪০ বিঘা জমি কিনেছে । বাঙ্কে কত টাকা আছে সেটা বলা সম্মব না । বুদু ভাই কিন্তু কোন ভার্সিটি থেকে অনার্স মাস্টার্স করেন নাই । কিন্তু এলাকার চেয়ারম্যান থেকে এম পি সাহেব সবাই উনাকে চেনে । থানার লোকজন ও এলাকায় আসলে বুধু ভায়ের বাসায় যান ।
লাল বাবু , নিজের নাম সাইন করতে গেলে ব্যাংকের চেকের প্রায় পুরা পাতাই লাগে তবু সাইন শেষ হয় না । কোন লেখা পরা করার সুযোগ হয় নাই । ছত বেলা থেকে ধান চালের বেবসা করেন । এখন এলাকায় কয়েকটি ট্রাক আছে , জমি কত বিঘা কিঞ্ছেন হিসেব নাই । নিজের যে ধানের চাতাল আছে বাজার মুল ৫ কোটি টাকার কম হবে না । মাসে ইনকাম কত বুঝে নেন ।
রফিক মামা , একসময় খুব ছোট করে ধান চালের বিজনেস করত । পাসা পাসি অনেক জমি আবাত করতেন । কত বিঘা জমি কিনেছেন সেটা বলতে না পারলেও ৫০ বিঘার কম হবে না । একটা অটো রাইস মিল আছে দাম প্রায় ১০ কোটি টাকার কম না । গত বছর এলাকার চেয়ারম্যান নিবাচিত হয়েছেন । মামা কিন্তু কোন ভার্সিটি পাস না । মামা প্রাইভেট কারে চলে ফেরা করেন ।
হোসেন আমাদের এলাকার অনেক পুরাতন একজন ব্বসায়ি । সুনেছি কাউকে বাকি দেন না বলে অনেকে নিন্দা করে যদিও তার এই না বাকি দেয়ার জন্য আমি মন থেকে খুব পছন্দ করি । একসময় বাজারের মধ্য ছোট একটা দোকান ছিল । এখন অনেক বড় দোকান, রড, সিমেন্ট, তিন, থেকে শুরু করে হার্ডওয়্যার আর অনেক কিছু বিক্রি করেন । নিজের ট্রাক আছে । ২ তালা পাকা বাড়ি করেছেন । মাসে ইনকাম সঠিক বলতে না পারলেও এটা বলতে পারি তার গুদামে সবসময় ২/৪/৫ কোটি টাকার মাল থাকে । হসেনের কিন্তু হাতের লেখা ভাল না । কিন্তু হোসেন সাহেব কথাও আতকে নাই । এলাকা কোটি পতিদের মধ্য তিনি অন্নতম ।
কোন নতুনত্ত নাই । খুব সাধারন ও পুরাতন গতানুগতিক বিজনেস করেই তারা আজকে সবাই কোটি পতি আর আমাদের সমাজের আক্স্রেনির ফেমিলি আছে জারা তাদের সন্তাঙ্কে জব না করলে ম্যান থাকবে না বলে মুখে ফেনা তুলছেন । আমন লোক দেখেছি যে বাবসায়ি দেখে মেয়ে বিয়ে দেবেন না , জামাইকে চাক্রিজিবি হতে হবে । সালা বলদের জাত । যেখানে লেখাপরা না জানা মানুষ গুলো সাধারণ বিজন্স করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন সেখানে শিক্ষিত সন্তান্দের ও তাদের পিতামাতার জবের জন্য হাহাকার দিখা পুকুরের নোংরা পানিতে চুবাইতে ইচ্চা করে । আমার দীর্ঘ বিসসা শিক্ষিত সমাজ যদি বিজনেসে আসবে তারা আরও বেশি ভাল করবে কারন তাদের বাহিরের গান অনেঙ্ক বেশি , পৃথিবী সম্পর্কে তারা অনেক বেশি গান রাখে । তাই আসুন বেকার বসে না থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন একটি বিজনেস শুরু করি । সাবলম্বি সনিরভর ও সমৃদ্ধশালী দেশ গরি ।