প্রশ্ন – মানুষ কি কি কারনে গরীব হয় ? কেন গরীব থাকে ? বড়োলোক হবার  উপায় কি ?  

অভাবে স্বভাব নষ্ট !! এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু আপনি জানেন কি যে, মানুষ তার সভাবের কারনেই অভাবে পরে ? আমি কয়েকশত গরীব মানুষদের সাথে দীর্ঘদিন কথা বলে ও সাথে চলে ও দূর থেকে দেখে কিছু দুষ্ট স্বভাব খুজে পেয়েছি যা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব । দুক্ষের বিষয় হল বেস্রভাগ গরীব মানুষগুলো আসলে কনদিন জান্তেই পারে না যে কেন তারা গরীব হয় ? তাদের গরীব হবার পিচনে কি কি জিনিস দায়ি ?  আয়ের অধিক বায়  আর ধার করে খরচ করা গরীব হওয়ার অনেক গুলো কারনের মধ্যে অন্যতম । আয়ের অধিক খরচ করার কারনে অনেক বিজনেস লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও বাংকের গ্যাঁড়াকলে পরে দেওলিয়া হয়ে যায় । আর এক শ্রেণির লোক আছে যারা “লোকে কি বলবে ” এই কথায় নিজেদের লাইফ পরিচালনা করে দেশের দরিদ্রদের মধ্যে তারা শীর্ষে । সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও দামি পোশাক পরিচ্ছদ কেনা, দামি রেস্টুরেন্ট এ খাওয়া, লোণ করে গাড়ি কেনা, দামি বাড়িতে ভাড়া থাকা দেওলিয়া হবার পূর্ব শর্ত । একারণেই বেশিরভাগ নারী ও মিডিয়ার মানুষ  আজীবন গরীব থাকে যদিও বাইরে থেকে সেটা বুঝা যায় না  । আজকে মানুষ গরীব হবার কিছু কারন নিয়ে আপনাদের সাথে খোলা মেলা আলচনা করব । এবং জেনে অবাক হবেন যে মানুষ তার নিজের কারনেই গরীব হয় – কি বসসাস হচ্ছে না ? ঠিক আছে তাহলে পরে দেখুন গরীব হবার ২২ কারন যার প্রত্যেকটাই তাদের নিজেদের স্রিস্তি ।

 

১- ঋণ বা ধার করে খরচ করা – সাধারণত যাদের ধার করে খরচ করার সভাব তাদের সারা জীবন শেষ হয় ঋণ সধ করার মধ্য দিয়েই, তারা সঞ্চয় করার সুযোগ না নিয়ে খরচে বাস্ত থাকে আর প্রকৃতি তার আপন নিয়মে ঋণগ্রস্ত মানুসদের আজিবন গরীব করে রাখে । টাকা খরচ করে কি করে ভাল থাকা জায় বা উপভোগ করা যায় এমন চিন্তা না করে বরং “ কি করে এই টাকা কিভাবে  বিনিয়োগ করলে  আমরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি “ ? এই মানসিক পরিবরতন সম্ভব হলে সেই মানুষ কখনই গরীব থাকবে না ।

 

২। সঞ্চয় না করা  – নিয়ম হল সঞ্চয় করার পরে খরচ করা কিন্তু দেশের বেসিরভাগ পাবলিক আগে খরচ করে, অনেক সময় পারলে ধার কইরা খরচ করে , অনেকটা পাল্লা দিয়া খরচ করে, যে যত খরচ করে শে তত বড়োলোক বা বর বংসের লোক এমন একটা ভাব ধরে বসে থাকে, সঞ্চয় ঘরার ডিম । যা হবার তাই হয় কনদিন ব্যাংক এ ২/৪ লাখ সঞ্চয় করতে পারে না ফকির ফকির থেকে যায় ।  আপনি যত আয় করেন , আর যত বেশি বেতন পান না কেন বছর সেসে আপনি কত সঞ্চয় করলেন সেতাই আপনার টাকা । শুধু তাই না জগতে কোন কিছুর গ্যারান্টি নাই সুতরাং লাভজঙ্ক বিজনেস বলেন আর সিক্স ফিগার সালারি বলেন কোন নিসছয়তা নাই, যেকন মুহূর্তে চলে যেতে পারে । সঞ্চয়ের ধান্দা নাই বলে অনেক মানুষ আজিবন পরিস্রম করেও তারা কখন বড়োলোক হতে পারে না ।

 

৩। বড়োলোক হওয়ার সিদ্ধান্ত না নেয়া  –

বড়লোক  হবার জন্য যা করা দরকার তা করে না ফলে বেশিরভাগ মানুষ  আজীবন গরীব থেকে যায় ।  যদি কেউ বই পরে, সেমিনারে যায়, সফল মানুসদের সাথে উঠা বসা করে, কিন্তু সম্পদশালী হবার জন্য কিছু না করে তবে সেই বাক্তি কখনই সম্পদ অর্জন করতে পারে না । আপনি যদি “ যেমন ভাবে চলছেন ঠিক  তেমন ভাবেই চলেন কোন কিছু পরিবরতন না করেন তবে আপনি কখনই সম্পদ অর্জন করতে পারবেন না । “ বেশিরভাগ মানুষ জিবনে বেরথ হয় কারন সফল হবার জন্য তারা কখনই মন থেকে কঠিন সংকল্প করে নি বা সিদ্ধান্ত নেয় নি । অনেক কেই বলতে শুনি আমি একদিন বড়োলোক হব,  আকদিন অনেক টাকা হবে, বাড়ি গাড়ি হবে , ব্যাংক এ টাকা থাকবে অনেকে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করে কিন্তু মন থেকে নিজে সিদ্ধান্ত নেয় না,  আমি বড়োলোক হবই এবং বড়োলোক হবার জন্য যে কঠোর পরিস্রম ও পরিবরতন দরকার নিজের মধ্য সেটা আনব এবং প্রতিজ্ঞা করে যে আমি বড়োলোক হব তবে সে সম্পদশালী হবার প্রথম পর্ব অতিক্রম করল ।

 

৪। সাশ্রয়ী মুল্লে কাজ না করানো – টাকা হলে সব হয় কিন্তু প্রায় সবসময়ই একটি কাজ তুলনামূলক কম খরচে করা যায় । যে কোন কাজ করে নেয়ার সময় আপনার মাথায় এটা আস্তে হবে যে কি করে এই কাজটি কম খরচে করানো যায়  । আপনার মাথাকে কাজে লাগাতে হবে , সবসময় নতুন, সহজ বা সাশ্রয়ী ভাবে কি করে করা যায় এটা মাথায় রাখতে হবে ।  মনে করেন আপনার একটি জমি আছে যেখানে আপনি বালু ভরাট করতে চান কারন আপনি ৫ বছর পরে সেখানে বাড়ি করবেন । কেউ আপনাকে পরামর্শ দিল যে বালি ফেলে প্রচুর পানি দিয়ে গাড়ি দিয়ে ডলে নিলে ভাল হবে আর আপনি সাথে সাথে এই কাজ শুরু করে দিলেন এবং পানি ও ডলে নেয়া বাবদ অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা খরচ করলেন । বলুন তো এখানে ভুল কোথায় ? এই কাজটি কি অন্নভাবে হত না ? অবশই হোতো । এখানে ভুল হল আপনাকে ডলে নেয়া আর পানি দেয়া আসলে কোন দরকার নাই । যেকোনো খোলা জমিতে বালু ভরে রাখলে বৃষ্টির পানি ও সময়ের সাথে সাথে সেটা এমনিতেই শক্ত হয়ে যাবে আর ৫ বছর সে অনেক লম্বা সময়  ।

 

৫। বাড়িতে বেশি বিনিয়োগ – সুন্দর বাড়ি কার না ভাল লাগে । কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে বাংলাদেশের বেসিরভাগ মানুষ যারা শহরের তারা বাসা ভাড়ায় অনেক বেশি টাকা বায় করে এবং যারা গ্রামে তারা অনেক বেশি টাকা দিয়ে বাসা তৈরি করে যা অত্তান্ত ভুল বিনিয়োগ । অর্থনৈতিক গুরুদের মতে মাসিক ইনকামের ২০% এর নিচে আপনার বাসা ভারায় বা বাড়িতে বিনিয়োগ করবেন কিন্তু বেসির ভাগ মানুষ প্রায় ৩০%-৫০%  খরচ করে ফেলে আর গ্রামের কিছু  মানুষ জমি বিক্রি করে বাড়ি করে, কেউ কেউ ধার দেনা করে করে  ।অনেকে ১০/১৫ বছর বিদেশ খেটে দেশে এসে গ্রামের মধ্য ৩ তালা বাড়ি করে পরিনামে  ১৫ বছর আগে যা ছিল তাই থেকে যায় । মনে রাখবেন গ্রামের বাড়ি সেটা যতই সুন্দর হউক না কেন আপনাকে কামাই করে খাওয়াবে না বরং বছর  বছর বাসা মেরামতের পিছনে অনেক টাকা খরচ করতে হবে । অনেকে মনে করে গ্রামে বাসা ভারা দিয়ে আয় করবে, কিন্তু  ভারা বাবদ সামান্য টাকা পেলেও  গ্রামে বাড়ি ভারা কখনই লাভ জনক নয়,  ইহা একটি চরম আকারের বোকামি ছাড়া কিছুই না  আর আমাদের দেশে এই  বোকার সংখা কয়েক কোটি  । বাড়ির পিছনে এই টাকা বিনিয়োগ না করে যদি জমি কেনা বা কোন বিজনেসে বিনিয়োগ করত তবে অনেকেই কোটিপতি হতে পারত কিন্তু সবাই এটি বুঝে না ।

 

 

৬। পরিবার- সাধারণত যে পরিবারে কেউ বেরে ওঠে সেই পরিবার যদি সম্পদশালী না হয়, বা ওই পরিবারে কেউ সম্পদশালী না থাকে, বা যে  স্কুলে সে পরালেখা করেছে বা সেখানে সে কাজ করে সেখানকার প্রায় সবাই গরীব, অর্থাৎ যে বেক্তির আশেপাশে অনুসরন করার মত কোন সফল সম্পদশালী বেক্তি না থাকে তবে সেই বাক্তির জন্য সম্পদশালী হয়ে ওঠা অনেকটা দুরূহ হয়ে পরবে । গরীব মানুষদের কেনা কাটার ধরন, ধারকরে চলার অভ্যাস, বিনিয়োগে অনীহা, হতাশা,  নেগেটিভ চিন্তাধারা সহ গরীব হবার প্রায় সকল  আচরন বা স্বভাবগুলো পরিবারের বাকি সদস্যদের মধ্য প্রভাব বিস্তার করে ।  কারন জন্মের পরে শিশু তার পরের প্রায় ২০ বছর পরিবার ও আসেপাসের মানুষদের দেখে সবকিছু শিখতে থাকে এবং সেসব অভ্যাস তার মধ্য চলে আসে । এজন্য ধনী পরিবারের সন্তান দের মধ্য ধনী হবার হার তুলনা মুলক বেশি । আর গরীব পরিবারের থেকে খুব কম পরিমান অগাদ সম্পদের মালিক হয়ে থাকে । গরীব পরিবেশ ও পরিবার থেকে যারা অনেক বড়োলোক হয় তারা সাধারণত  বড়লোকদের ছত্র ছায়া, সহযোগিতা বা পরিবারের বাইরে গিয়ে কাউকে অনুসরন করে গিয়ে এই অসম্ভব কে সম্ভব করে ফেলে । এই কারনেই বেশিরভাগ খেত্রে  রাজনইতিক পরিবারে নেতা,  বিজনেস পরিবারে কোটিপতি ও গরীব পরিবারে সাধারণত গরীব  মানুষ জন্মায় ।  সুতরাং  পরিবার গরীব হলে আপ্নিও গরীব হবেন  ব্যাপারটা অনেক্তাই এরকম । দারিদ্রতা এমন এক জাল জেই জাল আপনাকে উন্নতি করতে সব রকম  বাধা দেবে  ।  তবে সব জুগেই কিছু অসাধারণ মেধাবি ও পরিশ্রমী মানুষ এই জাল ছিন্ন করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন কিন্তু তাদের তুলনায় গরিবের ঘরে জন্মে গরীব হবার সংখা অনেক বেশি ।

 

 

৭। নেগেটিভ ও ভীরু – এরা সব কিছুর মধ্য নেগেটিভ জিনিস খুজে । কোন একটা কিছু শুরু করার আগেই চিন্তা করে যদি না হয় ? বিজনেস  শুরুর পরে চিন্তা করে সিজন ভাল না । অনেক সময় ভাবে এই বিজনেস না অন্য বিজনেস করলে হয়ত বেশি ভাল হত । এই বছর বিজনেস হয়ত ভাল যাবে না । কেউ খুব সস্তা দামে জমি বিক্রি করতে চাইলেও এসব লকেরা ভয় পায়, অনেক সুন্দর সুজগ আসলেও তারা সেখানে খারাপ দিক খজে, মনে জর নাই,  এমন নেগেটিভ ও ভিতু মানুষদের জন্য সম্পদ না । সম্পদশালী হতে হলে ঠাণ্ডা মাথায় অনেক বেশি ঝুকি নেয়ার মত সাহসি ও পজেতিভ হতে  । জোরে বাইক চালানো, উচ্চস্বরে কথা বলা,  মারামারি করার  মত সাহস দিয়ে সম্পদ অর্জন হয় না বাস্তব জীবন এমন সাহসিক্তার কোন মুল্ল নাই ।

 

৮। কাজ না করা   – যে বই পরেন আর যেই মুভি দেখেন না কেন আপনি যদি কাজ করতে না চান , কাজ দেখে ভয় পান এবং অলস মানুষ হয়ে থাকেন তবে সম্পদ আপনার জন্য না । কারন সফল মানুষদের লাইফ স্টাইল অনেক সুন্দর হলে সেখানে লুকিয়ে থাকে পরিশ্রম । অনেকে জব হচ্ছে না বলে বেকার থাকে , পছন্দের কাজ না পেলে আপাদত যে কাজ পাওয়া যাচ্ছে আপনাকে সে কাজটি করতে হবে ভাল কাজ  বা পছন্দের কাজ নাই বলে বসে থাকার কোন সুজগ নেই । আমি জিবনে কনদিন বেকার থাকি নাই, কারন আমি জিবিকার তাগিদে যখন যে কাজ করার সুজগ পেয়েছি সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছি । প্রায় ১০/১২ রকমের কাজের সাথি জরিত ছিলাম । প্রায় ১৫-২০ রকমের বিজনেস ও করেছি । আমার সফল হবার পথ কখনই খুব সহজ ছিল না । । মনে রাখবেন আপনি অলস মানুষ হলে কখনই সম্পদশালী হতে পারবেন না ।  সফল হতে হলে আপনাকে কাজ করতে হবে প্রচুর কাজ করতে হবে ।

১৫। দক্ষতা না থাকা – আমাদের দেশের বেসিরভাগ মানুষ একেবারেই অদক্ষ । অনার্স মাস্টার্স শেষ নাই কিন্তু বিশেষ কোন কাজে দক্ষ এমন মানুষ খুজলেও পাবেন না আর জারা এমন দক্ষ তারা সবাই খুব ভাল আছেন  । আপনি অফিসে কেরানি, পিওন, ঝারুদার, দারয়ান নিতে চাইলে লাখ লাখ  মানুষ পাবেন কিন্তু বিশেষ কোন কাজে দক্ষ লোক যেমন – পিএইসপি অওেব ডেভ্লপার, এক্সেল, ফটোশপ, গ্রাফিক্স জানা লোক    চাইলেও কয়েকশ খুজে   পাবেন না । ফলে বেসিরভাগ লোক খুব অল্প বেতনের কাজ করে ফলে তাদের দারিদ্রতা কখনই পিছ ছারে না ।

 

 

৯। অধৈর্য – মানুষের একটা অতি সাধারন স্বভাব হচ্ছে  ধৈর্য ধারন করতে না পারা, যা আয় করবে তার পুরাটাই খরচ করা এমনকি পারলে ধার করে বা লোণের উপর যা যা ইচ্ছা তার সবকিছু লাগবে, শুধু লাগবে বললে হবে না –  এক্ষণই লাগবে  ।  যে কোন মানুষ সে যদি কোন জিনিস কেনার বেপারে যথেষ্ট ধৈর্য ধারন করতে না পারে তবে সে  কখনই সম্পদশালী হতে পারবে না ।

 

 

১০। লোণ অ্যাঁবাবস্থাপনা – বেসিরভাগ মানুষের অর্থনৈতিক জ্ঞান সিমিত হওয়ায়, কোন লোণ নেয়া উচিৎ ? কোন লোণ না নেয়া উচিৎ  ? যেমন অনেক খেত্রেই স্টুডেন্ট লোণ ভাল ফল বয়ে আনে না, লোণ নিয়ে গাড়ি কেনা দুনির মধ্য সরবস্রেস্ত বোকামি কিন্তু কজন বা বোঝে। অনেকসময় লনে  ফ্লাট কেনার চেয়ে যে ভারা থাকা লাভ জনক টা দেশের অনেক সিক্ষিত মানুষেই জানে না । এছাড়া কোন লোণ আগে এবং কোন লোণ পরে সধ করা উচিৎ এসব বুঝতে পারে না ফলে দিন দিন লনের চাপে চেপটা হতে থাকে, যদিও টাকা ইনকাম করে কিন্তু অনেক সময় লনের ঘোড়া ইঙ্কামের চেয়ে বেশি দ্রুত দউরানের ফলে তারা লনের সাথে পেরে ওঠে না ফলে আরও গরীব হয়ে পরে  ।

 

১১। ভবিষ্যতের চিন্তা না করা –  যে মানুষ অনেক আয় করে এবং অর্থনৈতিক ভাবে খুব সচ্ছল হবার কআবংসে মানুষগুলো ও অনেক সময় দারিদ্রতায় ভগে কারন তাদের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো ভবিষ্যতের হিসেব করে নয় । তারা চায় কি করে আখনি খুব ভাল থাকা যায় ? কি করে আখনি যা যা দরকার সব পাওয়া যায় পরিনামে তারা কখনই অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বি হতে পারে না । অনেক মানুষ বিয়ের পরেই এবং বাচ্চা হবার আগেই মাসে ৫০০ টাকা জমা করে রাখে তাদের বাচ্চার লেখাপড়ার খরচ হিসেবে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু এমন কাজ করে না । যে মানুষগুলো এমন করে সমসময় ভবিষ্যতের চিন্তা করে কাজ করে তারা নিশ্চিত ভাবে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করে ।

 

 

১২। জরুরী তহবিল – জীবন সবসময় স্বাভাবিক নয় । কখন কোন বিপদ সামনে আসবে কেও জানে না । রোগ ব্যাধি, সড়ক দুর্ঘটনার মত বিপদ যেকোনো মানুষের যেকোনো সময় হতে পারে । আপনি খজ নিয়া দেখতে পারেন দেশের ৯০% ইমারজেন্সি ফান্ড নেই । বাকি ১০% অনেক টাকার মালিক বলে হয়ত পার পেয়ে যায় কিন্তু এই বাকি ৯০% মানুষগুলো বিপদের দিনে নতুন করে ঋণের জালে আটকা পরে ফলে বড়োলোক সেতো কথার কথা  আরও গরীব হতে থাকে ।

 

 

 

১৩। খরচ লিখে না রাখা –  সকলেরই  মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা বিভিন্ন খাতে বায় হয় । বিজনেসে খরচের হিসেব রাখা হলেও বাক্তি জিবনে এই হিসেবে কেউ সাধারণত রাখে না । হিসেব লিখে না রাখলে নির্দিষ্ট করে বলা অসম্ভব হয়ে পরে যে আসলে আপনি কোন খাতে মাসে কত টাকা বায় করছেন ? কোথায় আপনার বায় বেশি হচ্ছে ? কোথায় কম হচ্ছে ? কোথায় আপনার খরচ কমান উচিৎ ? অথচ লিখে রাখলে আপনি পরিস্কার ভাবে দেখতে পাবেন যে কোথায় আপনি কি করতে পারবেন কিন্তু সাধারণত কেউ এই কাজটি করে না ফলে তাদের খরচ চলতে থাকে হাল ছাড়া নৌকার মত, অর্থনৈতিক  স্বাধীনতা আর পাওয়া হল না  ।

 

১৪। প্রয়োজন এবং চাহিদা – মানুষের প্রয়োজন সিমিত কিন্তু চাহিদার শেষ নেই । অনেকে দুনিয়ায় যা কিছু আছে সব কিছুই তার প্রয়োজন মনে করে ফলে শে সব কিছুর জন্য দেদারছে টাকা খরচ করতে থাকে । বাস্তব জিবনে আসলে জগতের অনেক জিনিস আছে যা আমদের কখনই প্রয়োজন নাই,  অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা ছারাও জগতে হাজারো জিনিস আছে যা আমাদের মনের চাহিদা মাত্র যেমন, দামি গাড়ি, রলেক্সের ঘড়ি, মেক আপ, কসমেতিক্স, ডায়মন্ডের রিং, ঢাকা ক্লাবের মেম্বারশিপ, প্রাইফেট বিমান, হেলিকাপ্তারে বিয়ে করা, সিঙ্গাপুরে হানিমুনে যাওয়া কখনই কারো প্রয়োজন না , এসব না হলেও একজন মানুষ জীবন পার করে দিতে পারে, এসব হল মানুষের মনের খুধা বা চাহিদা মাত্র । বরতমানে এই সো অফের জগতে মানুষ এসবের পিচনে টাকা খরচ করে বরলকি দেখাতে গিয়ে বরং দিন দিন ফকির হচ্ছে ।

 

১৬। নিজের উপরে  বিনিয়োগ করে না – নিজেকে যুগ উপযোগী হিসেবে গরে তলার জন্য শিক্ষা, ট্রেনিং এ বিনিয়োগ করা উচিৎ কিন্তু অনেকেই সেটা করে না । এছাড়া সঞ্চয় ও বিনিয়োগের দিকে মনজগ না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন দামী গাড়ী, বিলাসবহুল বাড়ী তৈরি করে টাকা ণোশট করে  পরিণামে অর্থনীতিক স্বাচ্ছন্দ্য ধড়া ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় ।

 

১৭। বাজেট না করা –  প্রত্যেক মানুষের বাজেট করে শোব কিছু করা উচিৎ, কিন্তু বেশীড়ভাগ  মানুষ বাজেট করে চলে না জাড়াওবা বাজেট করে তারা আবার  ঠিক মত অনুসরণ করে না । প্রত্যেক মাশেড় খোড়োচে হীশেব ড়াখা উচিৎ টাহোলে আপনি বূঝটে পাড়বেণ আপনি কোণ শেক্টোড়ে কত টাকা খোড়োচ করছেন

 

১৮। খরচ করতে না জানা  – টাকা সবাই খোড়োচ কোড়টে পারে এটা আবার জাণাড় কি আছে ? কিন্তু না ওণেক কিছু জাণাড় আছে । প্রথমত ওণেকেঈ জাণে না তাঁর কি প্রয়োজন, কি কেণা উচিৎ , কি কেণা অনুচিত, কোথায় থেকে কীণলে ভাল জীণীশ পাওয়া যাবে  টিকবে বহুদিন, কোথায় কিনলে সাশ্রয়ী মূল্লে কেণা যাবে , কোখোণ কোণ জীণীশেড় দাম কমথাকে ? কেণা কাটার ওণেক কৌশোল ব বিষয় বেশীড়ভাগ মানুষ জানা না ফোলে ওণেক সময় সঠিক ডামে সঠিক জীণীশ কীণ্টে বেড়ঠো হয়, কোখোণো বা বেশী ডামে কীণে ওড়ঠেড় ওপোচোয় করে, কোখোণো বা খাড়াপ  জীণীশ কীণে টাকা ণোশট করে ।

 

১৯। দাম কমে এমন জিনিস কেনা –

বেশীড়ভাগ মানুষ খাওয়া দাওয়া, কসমেটীকশ, পোশাক আশাক ফাশোণেড় ও জুয়েলারির, টিভি, আসবাবপত্র,  গাড়ী  জন্য কাড়ী কাড়ী টাকা খোড়োচ করে যার মূল্লো কখনোই বাড়ে না ।  আশোব না কীণে মানুষ যদি বেশী বেশী স্বর্ণ বা জমি কিনত টোবে ভবিষ্যতে টা তাঁদের জন্য অতিরিক্ত ওড়ঠেড় কাড়োণ হত ।

২০। আমার সব  লাগবে –  অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল হতে হলে আপনাড় অনেক স্বভাব বদলাতে হবে কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ যেভাবে আছে সেভাবেই চলতে চায় পরিবরতন হতে অনিচ্ছুক । মন চাইলেই সাথে সাথে যা যা ইচ্চা সব কেনা যাবে না , অনেক কিছু কেনার খেত্রে আপনাকে বেস অপেক্ষা করতে হবে । কিছু কিছু  মানুষের অভ্যাস এতই খারাপ যে তারা পারলে ধার করে সব কিনবে কিন্তু কিনেই ছাড়বে, এই সব লাগবে তাইপের মানুষ গুলো কখনই বড়োলোক হতে পারে না ।

 

২১। অযাথা খরচ – দামি খাবার, দামি পোশাক দামি ফোন এসব কখনই প্রয়োজনীয় কিছু না এসব না হলেও আপনি সম্মানজনক ভাবে বচতে পারবেন । কিন্তু আমি অনেক মানুষকে চিনি যে মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পায় কিন্তু ১ লাখ টাকা দামের ফোন ব্যাবহার করে, মাসে ফনের পিছে খরচ করে আরও ২ হাজার টাকা । এছাড়া অনেকেই প্রতি বছর নতুন ফন কিনে যা তার কোন দরকার নাই কিন্তু তবু নতুন ফোন নেয়া লাগবে । বুঝতেই পাচ্ছেন এমন লকদের গরীব হওয়া কে ঠেকাবে হা ? কেউ না এরা কিয়ামত পর্যন্ত অভাবী হয়ে থাকবে অভাবী হয়ে  মরবে  ।

২২ । আয়ের চেয়ে বেশি বায় করা- ফকির হবার এক নাম্বার সমস্যা হল আয়ের চেয়ে বেশি বায় করা । এই কারনেই বেসিরভাগ মানুষ ও কোম্পানি দেউলিয়া হয়  । এই সমস্যা থেকে বাচার একমাত্র উপায় হল আয় বুঝে বায় করা বা  সামরথের মধ্যে জীবন ধারন করা কিন্তু বেসিরভাগ মানুষ  এটা করতে বার্থ হয় ।

 

আপনাকে সম্পদশালী হতে হলে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে আপনাকে বেরিয়ে আস্তে হবে । কি ভাবে লকে সফল ও সম্পদশালী হয় সেইসব বিষয় আপনাকে মাথায় নিতে হবে । সেগুল মেনে চলতে হবে আপনি মন থেকে আপ্রান চেষ্টা করলে অবশই সফল হবেন  । মনে মনে প্রতাজ্ঞা করুন যে আপনাকে সফল হতেই হবে আর নিজেকে সফল মানুষদের মত ভাবতে ও চলতে অভভাস্ত করে ফেলুন । যে কাজ গুলো করা যাবে না সেগুল করা বন্ধ করুন । আর যে কাজগুল অবশই করতে হবে সেগুল করতে থাকুন আপনি আজকের পর থেকে আর গরীব হবেন না । বিসসাস করেন ভাজ্ঞ বলে কিছু নাই আপনার সাফল্য আপনার নিজের করম ফল ছাড়া আর কিছুই না । আজ থেকে  প্রতিজ্ঞা করুন –

১- ঋণ বা ধার করে খরচ করব না  ।

২। অবশই সঞ্চয় করার পরে খরচ করব ।

৩। শপথ নিলাম আমাকে  সম্পদশালী হতেই হবে ।

৪। যে কোন কাজ  সাশ্রয়ী মুল্লে করাতে হবে ।

৫। বাড়িতে বেশি বিনিয়োগ করব না ।

৬। পরিবারে সফল কেউ না থাকলে দুরের কোন সফল মানুষকে অনুসরন করব ।

৭। নেগেটিভ ও ভীরুতা আর নয় সাহসি ও পজেটিভ হতে হবে ।

৮। যে কাজ পাব সেই কাজি করব, কখনও বেকার থাকব না ।

১৫। যে কোন কাজের জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুল্ব বা কর্ম  দক্ষতা অর্জন করব ।

৯। সবসময়  ধরজ ধারন করব কখনও অধরজ হব না ।

১০। সহজে লোণ নেব না নিলেও বুঝে সুনে নেব ।

১১। সব সময়  ভবিষ্যতের কথা ভেবে সকল সিদ্ধান্ত নেব ।

১২। অবশই  জরুরী তহবিলে কিছু টাকা জমা রাখব ।

১৩। প্রতিদিনের  খরচ লিখে নোট প্যাড বা খাতায় লিখে রাখব ।

১৪। প্রয়োজনীয় জিনিস কিনব এবং চাহিদা সিমিত করব ।

১৬। নিজের উপরে  বিনিয়োগ করব ( শিক্ষা, ট্রেনিং, ইন্টার্ন, প্রসিক্ষন নেব )

১৭।  সব সময় বাজেট করে খরচ করব ।

১৮। কি করে খরচ করতে হয় তার সব কিছু সিখব ।

১৯। দাম কমে এমন জিনিস না কিনে দাম বারে এমন জিনিস কেনার অভ্যাস করব ।

২০। দুচোখে যা দেখব তার সবকিছুই  আমার  কখনই লাগবে না, লোভ সংবরন করব ।

২১। অযাথা খরচের অভ্যাস পরিহার করব ।

২২ । আয়ের চেয়ে বেশি বায় কখনই করব না ।

 

 

আপনি উপরের লেখা কথা গুলো ১০০ ভাগ মেনে চললে আমি খন্দকার রবি গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি অবশই সফল হবেন ।

Join The Discussion

Compare listings

Compare