প্রশ্ন – সফলতা, জীবন ও মৃত্যু নিয়ে কিছু কথা বলেছেন খন্দকার রবি  ?  

প্রশ্ন – সফলতা, জীবন ও মৃত্যু নিয়ে কিছু কথা বলেছেন খন্দকার রবি  ?

 

পরিশ্রম, চেষ্টা আর ঘুমহীন রাত পার না করলে আপনি কখনই সফল হতে পারবেন না । সফলতা অনেকটা গাছের সুমিষ্ট ফলের মত । সবাই সেই ফল খেটে চায়, পেতে চায়, সে ফলের স্বাদ কল্পনা করে মনের মধ্য খাবার আকাঙ্ক্ষা যাগে কিন্তু বাস্তবে একটি চারা গাছ রপন করে, বছরের পর বচর জত্ন করে ফুল ফুটিয়ে ফল আসাপরজন্ত অপেক্ষা করে অবসেসে ফল পাকা পর্যন্ত তাকে পাহারা দিতে যে কষ্ট বা পরিশ্রম তা সবাই করতে চায় না – আর তাই সবাই সফল হতে চাইলেও সবাই সফল হতে পারে না । সফলতা কোন ১০০ মিতারের দউর প্রতিজগিতা না, এটা অনেক লম্বা অনেক অধ্যায় যার যন্ন বছরের পর বছর চেষ্টা ও পরিশ্রম করে যেতে হয় । বাইরে থেকে রাতা রাতি যে সফলতার গল্প গুলো সুনে থাকি সেগুল কখনই এক দিনের গল্প না , আহল কোন কোন মানুষের সারা জিবনের গল্প । হাজার ও ঘুম হিন  রাতের ফসল । আপনি যখন কোন লক্ষ বা সফলতার দিকে ছুতবেন তখন এসে পাসের অনেক সুন্দর জিনিস আপনি মিস করবেন, সেসব আপনার চোখে পরবে না, আপনি সেসবের সুন্দরজ উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হবেন ।

দুনিয়াবি সাফল্লের সরবচ্চ পর্যায়ে যখন আপনি অবস্থান করবেন তখন জগতের কোটি মানুষ আপনাকে অনুসরন করবে আপনি হবেন তাদের আদরস ও অনুকরনিও । কিন্তু এ কথা চরম সত্য যে  কাজের বাইরে আপনার আনন্দ করার সুযোগ ও সময় হবে খুবি সামান্য । আপনি যখন রাত দিন গাধার মত পরিশ্রম করে যাবেন তখন আপনার কোন বঁধু হয়ত মুভি দেখছে, বন্ধুদের সাথে আদ্দা দিচ্ছে কিংবা গার্লফ্রেন্ডকে বাইকের পিচনে নিয়ে ঢাকা শহরে রাতের আধারে  ছুটে  চলেছে ।  ধন, সম্পদ, খ্যাতির নেসায় আপনি যখন বিভর ছিলেন তখন হয়ত আপনার কোন এক সহপাঠী জীবন উপভোগ করছিল- কারন জিবন টো একটাই । জিবঙ্কে ভগ করার জন্য আপনি একটি মাত্র বার সময় পাবেন সে সময় চলে গেলে আর সময় ফিরে পাবেন না ।

অসুথ আপনি যখন হাস্পাতালের বিছানায় ছতফত করবেন তখন আপনার সব অর্জন খ্যাতি ক্ষমতা ও সম্মান একেবারেই ফেলনা মনে হবে, মিত্তুর কাছে এসবের কানাকড়িও মুলো নেই । আপনার সম্পদ আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকলে আপনার মৃত্যুর উপর আপনার কোন নিয়ন্ত্রন থাকবে না । আপনি যে বাকি আর ১০ জন মানুষের মতই সাধারন একজন রক্ত মাংসের মানুষ সেদিন হারে হারে তা টের পাবেন ।  কোটি কোটি টাকা বাঙ্কে থাকলে হাস্পাতাল আপনাকে আপনার পছন্দ মত খাবার দেবে না । ডাক্তারের বাবস্থাপত্র অনুজায়ি আপনাকে খেটে দেবে । আপনি যে কত অসহায় সেদিন বুঝত পারবেন । হাসপাতালের জানালার বাইরের মানুষ গুলকে ভিসন বেকুব লাগবে , মনে হবে মানুষ কেন এই দুনিয়া নিয়া এত বেষ্ট ? মাঝে মাঝে দুনিয়া বিরক্তের  হলেও সেদিন আপনার এই জগতের জন্য ভিসন মায়া হবে । প্রত্যেকটা গাছ পালা আল বাতাস্কে বরই আপন মনে হবে, কোন কিছুর বিনিময়েই এ দুনিয়া ছারতে ইচ্চে হবে না । হাস্পাতালের বিছানায় সুয়ে জীবন রক্ষাকারি মেসিনের সবুজ বাতিগুলর দিকে তাকিয়ে ২ চোখ বেয়ে অশ্রু গরাবে, অন্তরটা হাহাকার করে উঠবে । জীবন রক্ষা কারি মেসিনের সব্দের মধ্য আপনি আপনার মিত্তুর পায়ের ধনী সুন্তে পাবেন কিন্তু মন্তা কনমতেই বিশ্বাস করতে চাইবেন না ।  মানুষ মরন শীল কিন্তু কোন মানুষই নিজে মোড়ে যাবে এটা ভাবতে পছন্দ করে না , আপনিও অবিসসাস করবেন কিন্তু যম দুত চলে আসবে । না চাইলেও আপনি আমি আমরা সবাইকে চলে যেতে হবে এই দুনিয়া ছেরে  । আপনি আমি যতই ক্ষমতা ও সম্পদশালী কেউ হই না কেন , মাটির কবরের কাছে আপনার আমার আলাদা কোন পরিচয় নাই । কোন ফোন কল, ঘুষ বা লবিংসসেখানে কাজ করে না । চোখ জোরা বন্ধ করে কথা গুলো ২ মিনিত ভেবে দেখুন টো কেমন লাগে !!!

 

আপার এলাকা আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকলে , আপনার মৃত্যু আপনার নিয়ন্ত্রন্র বাইরে । মৃত্যুর পরে এমনকি  আপনার পরিবার, স্ত্রি আদরের সন্তানও আপনার নিয়ন্ত্রনের বাইরে । কেউ আপনার কথা শুনবে না, কেউ আপনাকে পাত্তা দেবে না । এ জগত কেমন বুঝতে চাইলে আকদিন এমন এলাকায় চল যান যেখানে কেউ আপনাকে চেনে না , খুব সাধারণ পোশাক পরে রাস্তার পাশে সারা দিন বসে থাকুন । কেউ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না , কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করবে না, কেউ চালাম দেবে না , কেউ আপনাকে ভয়ে মিথ্যা সম্মান দেখাবে না ।  মৃত্যুর পরে আপনি আমনি একজন হয়ে যাবেন, কেউ আপনাকে হিসেবে রাখবে না । আপনার বংশের ২/৩ জেনারেসন আপনাকে মনে রাখলেও ১০০ বছর পরে আপনি যে একজন মানুষ ছিলেন সেটা একেবারেই মুছে যাবে । আপনার বংশের ১০/১২ তম জেনারেশন কে আপনি চেনেন ? চেনেন না । আপ্নাকেও কেউ চিনবে না ।

 

বেকুবের মত সারাজীবন ধন সম্পদের পিছে  ছুটে কোন লাভ নাই । আপনি আজ যে সম্পদের আজকে মালিক আপনার জন্মের পুরবে তা অন্য কারো ছিল আমনি ভাবে আপনি যখন মোড়ে যাবেন তখন সেই সম্পদ অন্নকার হবে । সম্পদকে নিজের মনে করার কোন কারন নাই – সম্পদ আজ আপনার টো কালকে অন্নকারও ।  অনেকেই নিজের ভাই-বন, পরিবার ও সন্তান্দের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজের জীবন নষ্ট করে টাকার পাহার গরতে গিয়ে নিজের জীবন শেষ করে ফেলে । জগতে সবচেয়ে বুদ্দিমান বকাদের মধ্য এরা সবার উপরে । বাবার মৃত্যুর পরে আকের পর এক সম্পদ বিক্রি করে নিজের চখের সামনে ফকির হতে দেখেছি । অনেকে আবার বাবার মত ক্ষমতা  না থাকার কারনে সম্পদ দখলে রাখতে পারে না । অনেক সময় সেই সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মারামারি, খুন, মামলায় নিজেদের জরিয়ে ফেলে । টাকার পাহার না গড়ে জগতে টিকে থাকার শিক্ষা দিতে পারলে সন্তানরা বেশি ভাল থাকবে । জিবনে শুধু সম্পদ না বরং সম্পদের বাইরে আরও অনেক কিছু আছে সেসব খজা ও উপভোগ করা উচিৎ ।

জিবনে টাকার সাথে আরও কিছু জিনিসের প্রয়োজন আছে,  সেতার বালেন্স করতে না পারলে জীবনটা একসময় মিছে মনে হবে । মানুষের সাথে সুসম্পর্ক, মানুষের ভালবাসা, মানুষের জন্য কিছু করা, মানুষকে সাহায্য করা, ভ্রমন, জগতের প্রাকিতিক সুন্দরজ উপলব্ধি করার পাসা পাসি একটি প্রেমে ভরপুর সাদা মনের বরই প্রয়োজন । শুধু টাকার পিছে ছুতলে আপনি একসময় সেই টাকা ভগ করতে ভুলে জাবেন, টাকা শুধু আয় করতেই সিখবেন । আমি অনেক মানুষ চিনি যাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ থাকলে জিবনে কোনদিন ৭ দিনের জন্য অবকাশ যাপনে যায় নি, বাংলাদেশে থাকে কোনদিন কক্সবাজার বেড়াতে যায় নি টাকা খরচ হবে বলে – আজিব মানুষ ।

 

মানুষ আসলেই বোকা নইলে সবাই শুধু টাকা টাকা করে জগতের মূল্যবান আরও কত কিছু আছে সেগুল ভুলে থাকে কি করে  ?  মন প্রেমের জন্য বাকুল, হৃদয় ভালবাসার জন্য লালায়িত কিন্তু আমরা টাকার নেসায় পরে সব ভুলে গেছি । আপনার বিসাল সম্পদের কিছুই আপনি কবরে নিয়ে যেতে পারবেন না , আমিও পারব না । আপনার শেষ বিদায়ের বেলায় যা পাবেন তা সুধুই ভালবাসা, প্রেম, মায়া, আর কিছু সুন্দর সৃতি যা আপনাকে বার বার কাদাবে ।  ছেলেবেলার প্রতিটি সৃতি আপনাকে আবেগে আপ্লুত করবে  ছতবেলায় পুকুরে মাছ ধরা, গাছে উথে কাচা এম পেরে খাওয়া, মায়ের সাথে নানা বাড়ি যাবার সৃতি গুলো কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারে না । আপনার জিবনে এমন সৃতি থেকে থাকলে আপনি নিজেই বুঝতে পাচ্ছেন সেগুল কেমন মূল্যবান ও সেসব স্রিতির সাথে কত আবেগ ও ভালবাসা জরিত । মৃত্যুর সময় এই সৃতি গুলই আপনাকে বেচে থাকার প্রেরনা যগাবে ।  পৃথিবীতে ভালবাসার অভাব নেই শুধু খুজে নিতে হবে । শুধু টাকার পিচনে ছুতলে আর হায় হায় করলে কখনই সম্পদ ও ত্রিপ্ত পাবেন না , কারন জগতে আপনার চেয় অনেক বেশি টাকাওয়ালা লোকের অভাব নেই , সেটা আপনাকে সবসময় পিরা দেবে, শুধু সম্পদের পেছনে ছুটে হাহাকার করলে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবে না ৷

মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার স্বাস্থ্য কিন্তু আমারা সেটা বেমালুম ভুলে যাই, সরির স্বাস্থ্য নষ্ট করে রাত দিন টাকার পিছে ছুটি । যখন বুঝতে পারি স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে গেছে তখন আবার টাকা দিয়ে সেই হারান স্বাস্থ্য ফিরে পেতে চাই, কিন্তু সময় ফুরিয়ে গেলে টাকা দিয়েও সেই হারান স্বাস্থ্য আর ফিরে পাওয়া যায় না । সুস্থ আছেন বলে হয়ত বুঝতে পাচ্ছেন না , আকবর অসুস্থ হয়ে দেখুন, জগতের সব কিছু মিত্তা ও ফালতু মনে হবে । আপনার ওজনের সমপরিমান টাকা দিলেও আপনার কান্সার যখন নিরাময় হবে না তখন বুঝতে পারবেন- মানুষ কত অসহায় । ওপেন হার্ট সার্জারি করার সময় যখন মুচলেকা নেবে যে আপনি মোড়ে গেলেও আপনার বা পরিবারের কোন আপত্তি নাই সেদিন বুঝবেন জীবনটা আসলে কি ? কত ঠুনকো , কত সস্তা । বেচে আছি আতাই বড় কথা । কোটি টাকা দিলেও আপনার অসুখ কেউ বয়ে বেড়াবে না, সময় থাকতে নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন । পৃথিবীতে হারান জিনিস আপ্নে পাবেন, হারান সম্পদ আপনি পাবেন, হারান সুনাম সেতাও হয়ত ফিরে পাবেন কিন্তু এ জীবন আকবর হারালে আর  পাবেন না , কোনদিন না ।  শেষ বয়সে  এসে মনে হবে, এই টো সেদিন জন্ম নিলাম, সাথের অনেকেই চলে গেছে, এখন আমাকেও যেতে হবে, জীবনটা এত দ্রুত শেষ হয়ে গেল ? কেন আগে জিবনের মুলো বুঝিনি ? আপনার বয়স জতই হোক না কেন, মৃত্যু আপনার কাছে আসবেই, আমি আপনি কেউ সারাজীবন বেচে থাকার জন্য জগতে আসি নাই । আজীবন এমনিতেই পেয়েছি, আবার এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে । দয়ার জীবন শেষ হবার আগেই আপনার মা-বাব, পরিবার, ভাই বোন, স্ত্রি সন্তান্দের ভাল্বাসুন, ভাল রাখুন, নিজেকে ভাল্বাসুন, নিজেকে ভাল রাখুন, জীবনটা উপভোগ করুন, দুশ্চিন্তা না করে প্রান খুলে হাসুন, নিজেক সুখি ও ভাজ্ঞবান মনে করুন, নিজের অবস্থার জন্য সুক্রিয়া করুন । জীবনটা বরই সুন্দর ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Join The Discussion

Compare listings

Compare