প্রশ্ন- হতে চাচ্ছেন উদ্যেক্তা , জেনে নিন কিছু  অসাধারন টিপস- ?

প্রশ্ন- হতে চাচ্ছেন উদ্যেক্তা , জেনে নিন কিছু  অসাধারন টিপস- ?

বিশ্ব আলোর বেগে পরিবর্তিত হচ্ছে, আপনি এখানে যদি এক বিন্দু অপেক্ষায় থাকেন, স্থীর থাকেন তাহলে আপনার প্রতিযোগী আপনাকে ছাড়িয়ে যাবে। আর এটাই সত্য।
একটা কোম্পানির  সবচেয়ে বেশী খরচ করা উচিৎ  তার রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টের পিছনে, কারন কোম্পানির সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে অনবরত উদ্ভাবনের উপর । যদি আপনি নতুন কিছু নাই আনতে পারেন তবে প্রতিযোগী ও ছোট ছোট কোম্পানি গুলো আপনার মার্কেট শেয়ার খেয়ে ফেলবে। তবে একজন নতুন উদ্যেক্তার জন্য প্রতি মুহূর্তে নতুন কোন উদ্ভাবন নিয়ে আসা আসলেই কঠিন ব্যাপার। প্রত্যেক উদ্যেক্তা মার্কেটে নতুন কিছু উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রবেশ করে, সৃষ্টি করে কর্মসংস্থান, সমাজে রাখে আর্থিক অবদান।  আজকে উদ্যোক্তাদের কাজে লাগে এমন  কিছু তিপ্স  নিয়ে কথা বলব –

 

১। সেরা টিম গঠন করা –  আপনার উদ্যোগকে আপনি আকা কখনও খুব বড় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন না । আপনাকে অবশই সাথে কিছু লোক লাগবে । আর সাধারণত কখনই সঠিক লক্তিকে খুজে পাবেন না । আপনার  আইডিয়া সৃষ্টিশীলতা ও বিনিয়োগ সামরথ দেখে হয়ত অনেকেই স্বপ্ন দেখে আপনার সাথে যোগ   দিতে পারে কিন্তু সমস্যা হল সেই লক্তি বেসির ভাগ খেত্রেই দেখবেন যে আপনার কাজের জন্য উপযুক্ত না ।  বেশিরভাগ যে লোকজন পাবেন দেখবেন তারা তেমন কোন  কাজ জানে না  । আপনি যদি একটি অসাধারণ টিম গঠন করতে বেরথ হন তবে আপনি অবশই বেরথ হবে। মেসি রোনাল্ডো খুব ভাল খেলে কিন্তু তারা কখনই আকা তাদের তিমকে যেতাতে পারে না । কারন খেলা জিত্তে হলে আপনার পুরো তিমকে ভাল খেলতে হয় । যদি আকাই সব করা যেত গত কয়েক বছরে সব বিসসকাপে পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনা জিত্ত কারন মেসি রোনাল্ডো আই দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা ২ জন খেলোয়াড় ।

 

২। পরিক্ষা মুলকভাবে শুরু করা –

উদ্দগের শুরুতেই খুব বড় আকারে মার্কেটিং বা প্রচার করে শুরু করবেন না । আগে আপনার দেম খুব অল্প কিছু মানুষের মাঝে শুরু করে দিন । দেখুন মানুষ আতাকে কিভাব নেয় । তাদের সাথে কথা বলুন । আসতে আসতে ২/৪/১০/২০ এভাবে আগাতে থাকুন এবং মার্কেট ডাটা আনালাইসেস করুন ।  আপনি মার্কেট ডাটা আনালাইসিস করলে অনেক সময় দেখতে পাবেন যে আপনার অনেক আইডিয়াই আসলে লাভজনক বা বাস্তব সম্মত না আপনি বড় রকমের খতির হাত থেকে নিজেকে ও আপনার বিনিওগকারিকে রক্ষা করতে পারবেন । কারন আপনার হাতে টাকা থাকলে একটি আইডিয়া কাজে না লাগ্লে আপনি অন্য কোন আইডিইয়া নিয়ে কাজ করে যেতে পারবেন কিন্তু টাকা শেষ হয়ে গেলে আপনি শেষ ।

 

৩। অযাথা খরচ পরিহার করা –

কোন উদ্দগ বাস্তবায়নের শুরুতেই দামি অফিস, সোফা, আসবাবপত্র ভাড়া নিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করার মত বোকামি আপনি করবেন না । আমি নিজে আই ভুল করেছি টাই আমি জানি আআএটা কত বড় বোকামি । কোন বিজনেসের শুরুতেই খুব বড় অফিসের দরকার পড়ে না । শুরুতেই সত সত লোক আপনার অফিসে আসবে না । শুরুতেই হাজার হাজার ভিজিটিং কার্ড, বানার ও প্যাড আপনার ছাপানর কোন  দরকার নেই । আপনি অনেক পুরাতন বিজনেস মাঙ্কে দেখবেন সাদা সিধে একটি ছোট অফিস আর পুরান কিছু তেবিল চেয়ার নিয়ে কোটি কোটি টাকার বিজনেস করে যাচ্ছেন । বিজনে সসুধু সো আফ করার মত কিছু না বিজনেসের ভিতরে আপনার আসলে কিছু থাকতে হবে । আপনার সেবা বা বিজনেস মানুষের প্রয়োজন ও সামরথের মধ্য না হলে আপনার বিজনেস কখনই তিউকবে না ।, দামি অফিস এ শুধু আপনার লসের পরিমান বারিয়ে দেবে আর কিছু না ।

 

৪। স্টাফদের সাথে প্রচুর আড্ডা দিন –

বিজনেস আড্ডা আপনাকে নতুন নতুন ধারনা ও উপায় বাতলে দেবে । আপনাকে সবার মনের কথা ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করতে হবে । তবে সবার কথা সুনলেও সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় অবশই নিজের মন ও মেধায় যেতা ঠিক মনে হয় সেটাকেই গ্রহন করবেন  । আমি নিজেও আমার স্টাফ সহকর্মী ও আমার বাবসায়ি বন্ধুদের সাথে প্রচুর আড্ডা দেই, তাদের গল্প শুনি  । আপনি চাইলে মাঝে মাঝে করমিদের বা বাবসায়ি বন্ধুদের জন্য লান্স, দিনার বা কম খরচে চায়ের দাওয়াত দিতে পারেন  ।   যদি দেখতে পান আপনার সহকর্মী বা বন্ধুরা  শুধু আপনার কথার সুরে সুর মিলাচ্ছে তবে আপনি ভুল লোককে বেছে নিয়েছেন ।

 

৫। নিজেকে আপডেট রাখা –

বইয়ের পাতায় কি- ব্লগে, কি আরেকজনের অভিজ্ঞতায় আপনি খুঁজে পাবেন একই সাথে রোমাঞ্চ ও জ্ঞান। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে হাজারো উৎসাহ মুলক লেখা আপনি চাইলেই সহজেই খুঁজে পাবেন। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে বিশ্বের ৮৮% শতাংশ ধনী ব্যক্তি প্রতিদিনের অন্তত ৩০ মিনিট কাজে লাগায় বই ও আর্টিকেল পড়ায়। বিশ্বের শুধুমাত্র ২% সাধারন মানুষ এভাবে প্রতিদিন বই পড়ে। এছাড়া মুভি দেখা, বিশ্ব সংবাদ, বিশ্ব রাজনীতি, সহ নানা রকম খবর আপনাকে দেখতে হবে ।   আপনার ধারনার সাথে,লজিকের সাথে খাপ খায় এমন বক্তাদের লেখার নোট নিন ও ফলো আপে রাখুন।আপ্নি নিজেই বুঝে যাবেন কোন বই আপনার আত্ম তথা সামগ্রিক উন্নয়নে প্রেরনা হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া  বিভিন্ন সেভিমার ও ওয়ার্কশপ আপনাকে অনেক নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করবে ।

৬ । করুন SWOT অ্যানালিসিসঃ
বিজনেস স্কুল গ্র্যাজুয়েট ও মার্কেটারদের মাঝে খুব জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত একটি টার্ম হচ্ছে SWOT ( Strength, Weaknesses, Opportunity,Threat) Analysis. সোওট অ্যানালিসিস আপনাকে আপনার শক্তি , দুরবলতা, সুযোগ ও ঝুকি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা দেবে ।  একজন নেতৃত্ব সম্বলিত মানুষ ও আগামী দিনের উদ্যেক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে আগে তো নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে জানতে হবে।  আপনার নিজেকে জানতে হবে । নিজের প্রতি সত্য ধারনা ধাক্তে হবে । যদি নিজের কাছে সত্য ও সৎ থাকেন তাহলেই হতে পারবেন সফল উদ্যেক্তা। তাই আজই করে ফেলুন নিজের সোওট অ্যানালিসিস। আপনি বড় কোন কোম্পানির সাথে যে প্রতিযগিতা করতে গেলে ঠিক হবে না এটা যান্তে পারবেন শুধু SWOT অ্যানালিসিস করার পর । অনেকে না বুঝে সুনে হুট হাত কাজ করে অনেক লস খায় আপনার খেত্রে আমন্তি না হউক আই কামনা ।

৭। হাল ছেরে না দেয়া –

শুরু করলেই আপনার বিজনেস সাথে সাথে সফল হয়ে যাবে আমন্তা নয় । অনেক সময় একটি কোম্পানি মুনাফায় যেতে ২/৪ এমনকি ৫/৬ বছর ও লেগে যেতে পারে । সুতইরাং খুব ভেবে চিনতে শুরু করতে হবে এবং ৬ মাস এক বছরে খুব ভাল না করলেও আপনাকে বিজনেস ছেরে দিলে চলবে না । তবে হা আপনি যদি দেখেন আপনার সেবা বা পন্নের কোন চাহিদা নেই বা আপনার ধারনা ও বাস্তবতা একেবারেই আলাদা তবে আপনি বন্ধ করে দিতে পারেন ।  তবে গবেসনায় দেখে গেছে যারা কষ্ট করে প্রথম ৩ বছর পার করতে পারে সেসব বিজনেস গুলো সাধারণত লাভ জনক হবার  সম্ভাবনা ৯০% হয়ে থাকে কারন বিজনেসে ১০০% বলে কিছু নেই  ।  আর যারা বিজনেসে ২/১ বার লস দিয়েও বিজনেস ছারে না হয়ত অন্ন কোন বিজনে করে অর্থাৎ বিজনেসেই লেগে থাকে তারা সাধারণত সফল হয়ে থাকে ।

 

৮। বিনোদন ও বিরতি –

দিন্রাত ২৪ ঘন্তা শুধু কাজ আর বিজনেস নিয়ে থাক্ল আপনি চরম বিরক্তিকর একটি মানুসে পরিনত হবেন । একসময় নিজের কাছেই নিজেকে বিরক্ত লাগতে থাকবে । টাই শুধু কাজ না করে মাঝে মাঝে অবসরে যাওয়া, ঘুরতে যাওয়া, প্রেম করা, গান করা , আড্ডা দেয়া যেতে পারে এতে করে আপনি নতুন করে আনারজি পাবেন । ম,আনুসের সাথে মিস্লে আপনি অনেক সামাজিক ও নেট অওারক বৃদ্ধি ও করতে পারবেন যা আপনার বিজনেসে অনেক কাজে দেবে । শুধু টাই নয় কাজের দরকার আছে টাই বলে শুধু কাজ করে যাবার জন্য আই জীবন না । আই জীবন আমারা সবাই মাত্র ১ বার পেয়ে থাকি ২৪ ঘন্তা বিজনেস নীয় থাকলে কি ম্লাভ ? কে  খাবে এসব টাকা পয়সা ? কার জন্য রেখে জাবেন। মনে রাখবেন আপনার জীবন আপনার , আপনাকে ভাল রাখার ভালবাসার দায়িত্ব ও আপনার । সুতরাং কাজ করুন আবার ইঞ্জয় ও করুন । নিজেকে ভালনবাসুন ভালরাখুন । শুভকামনা আপনার জন্য ।

Join The Discussion

Compare listings

Compare