বিজয় / অভ্রতে বাংলা লিখতে পারে ! এমন এডমিন এসিসট্যান্ট পাওয়া যায় না। ১৫১

বিজয় / অভ্রতে বাংলা লিখতে পারে ! এমন এডমিন এসিসট্যান্ট পাওয়া যায় না। ১৫১

বিজয় / অভ্রতে বাংলা লিখতে পারে ! এমন এডমিন এসিসট্যান্ট পাওয়া যায় না। ফেসবুক পেইজ ম্যানেজ করতে গিয়ে গুছিয়ে একটা মেসেজের রিপ্লাই দিতে পারে, বেসিক ওয়ার্ড, এক্সেল ব্যবহার করতে পারে ! এইটুকু দক্ষ ছেলে মেয়ে পাওয়া যায় না। ফোন রিসিভ করে সঠিক কার্টেসি মেইন্টেইন করে কথা বলতে পারে ! এমন লোকেরও অভাব। প্রোডাক্ট ডেলিভারী দিতে গিয়ে কাস্টোমারের সাথে সুন্দর করে কথা বলে তাকে কনভিন্স করতে পারে ! এমন লোকও খুব একটা দেখিনি। প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্যে প্রফেশনাল এপ্রোচের বিপিও পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
অথচ, চারিদিকে তাকালে বেকারের অভাব নেই। কাজ চাই, কাজ নাই ! রবে সবাই সরগরম। এই প্রজন্ম নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নে বিন্দুমাত্র সচেতন নয়। এদিকে ছোট বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকবল তো লাগেই। তারা তখন এইসব অদক্ষ, আধাদক্ষ লোকবল দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা করে। তাতে করে প্রতিষ্ঠান তাদের কাঙ্খিত আউটপুট পায় না ফলে সেইভাবে রিটার্নও দিতে পারে না। আবার চাকুরীজিবীরাও তাদের প্রত্যাশার বিপরীতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয় যার দরুন ক্যারিয়ার গ্রোথ নিশ্চিত করতে পারে না।
বিরাট একটা গ্যাপ। কিন্তু চাকুরী প্রত্যাশী এবং চাকুরীদাতা উভয়ের মধ্যে একটু যোগসূত্র স্থাপন করা গেলে, সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজের সার্বিক উন্নতি সাধনের লক্ষে কাঙ্খিত দক্ষতা প্রদান কিংবা অর্জনে কিছুটা বাড়তি এফোর্ড দিলেই কিন্তু অনেকটা ঝামেলা মিটে যায়।
বাড়ি বসে বড়লোক, লার্নিং আর্নিং কিংবা গৎ বাঁধা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তো সবার জন্যে নয়। তাছাড়া এর প্রায় সবই অলীক কল্পনা ছাড়া কিছু নয়। পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। সাফল্যের কোন শর্টকাট নেই এবং দক্ষতা ছাড়া যোগ্যতার কোন দাম নেই। এগুলোই দিন শেষে চিরন্তন সত্য বচন।
আমাদের মত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা দক্ষ জনবলের অভাবে সবচেয়ে বেশি সাফার করে থাকি। কম বেশি টাকা তো আমাদের ব্যয় হয়ই কিন্তু কাঙ্খিত নূন্যতম দক্ষ লোক পাইনা ফলে আমাদের সিসটেম লস অনেক বেড়ে যায়। ভাবছি, নিজের প্রয়োজনেই এখানে কিছু কাজ করতে হবে। পথ না পেলে পাহাড় কিংবা জঙ্গল যাই হোক না কেন, সেখানে পথ তৈরী করে নেয়াই উদ্যোক্তার ধর্ম।
pic location – @bogra Karatoya River
Collected from Sajjat Hossain

খুব আশা নিয়ে মিলিওনার বাপের অফিসে গিয়েছিলেন ১৫২

খুব আশা নিয়ে মিলিওনার বাপের অফিসে গিয়েছিলেন- একটা পার্ট টাইম চাকরির জন্য। বাপ ছেলেকে তাঁর প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দিতে সরাসরি প্রত্যাখান করেন। আশাহত হয়ে ছেলেটি সাত মাইল দূরে এক পত্রিকা অফিসে কাজ নেয়। পিতা তাকে তাঁর গাড়িতো দেন নি বরং একটা বাইসাইকেলও কিনে দেননি। তাই সাত মাইল পথ তাকে দৌড়ে অথবা হেঁটে পত্রিকা অফিসে যেতে হতো। ছেঁড়া জুতো পরে স্কুলে যেতো বলে বন্ধরা হাসি-তামাশা করতো। তাই, একদিন বাপকে না বলে বাপের জুতো পরে স্কুলে গেলে – পিতা খুব মনক্ষুণ্ন হন। বলেছিলেন-আগামী ক্রিসমাসের আগে কোনো জুতো কিনে দেয়া যাবেনা। হাইস্কুল পাশের পর ছেলে পিতাকে অনুরোধ করলো- একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার করার জন্য সুপারিশ করতে। একটা ভালো ডোনেশন বিশ্ববিদ্যালয়ে দিলে ভর্তি সহজ হয়। যে পিতা নিজের জুতো পরে স্কুলে যাওয়ায় বকা দেন-সেই পিতা ডোনেশান দিয়ে ছেলেকে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাবেন? এখানে প্রত্যাখাত হয়ে ছেলেটি একটা লোকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পাশ করে পেশাগত দিক দিয়ে ভালো সুবিধা করতে না পেরে সেনাবাহিনীর একেবারে রিজার্ভ সৈনিক হিসাবে যোগ দেন। সেখানে কাটে সাত বছর। সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় আবারো ভর্তির প্রস্তুতি নেন এবং নিজের যোগ্যতায় স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তারপর শুরু হয় ইতিহাস। পাশ করে হন্য হয়ে আর চাকুরীর পেছনে ছুটেন নি। জুতোর ফ্যাক্টরিতে বন্ধু বিল বাওয়ারম্যানের সাথে দিনে ষোল ঘন্টা করে কাজ করে বিজন্যাস পাইওনীয়ার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন । বর্তমানে পৃথিবীর ১৫ তম ধনী ব্যক্তি এবং ২৪.৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক। যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে বাপের সুপারিশ পাননি-সেই স্টানফোর্ডেই ডোনেশন করেছেন- ৭০৫ মিলিয়ন ডলার। একদিন ছেড়াজুতো পরে স্কুলে যাওয়ায় হাসিতামাশা আর বাপের বকুনি খাওয়া সেই ছেলেটি আজকের দুনিয়ার বিখ্যাত জুতো কোম্পানি নাইকির মালিক-ফিল নাইট ।
ফিল নাইট বলেন-সব সাফল্যের জন্য বাপের কাছে ঋণি। সেদিন শুধু চেহারা দেখে নিজের পুত্র হিসাবে স্বজনপ্রীতি করে বাপের অফিসে চাকুরি দিলে, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও স্টানফোর্ডে ভর্তির জন্য সুপারিশ করলে-আর বিলাসী জীবনের প্রলোভনে জড়িয়ে পড়লে -এই অবস্থায় কোনোদিনও আসতে পারতাম না। বাপ শিখিয়েছিলেন-যার যতটুকু যোগ্যতা, তার ততটুকুই প্রাপ্য। যোগ্যতার বাইরে বেশী কিছু প্রত্যাশা করা হলো আত্মপ্রবন্চনা। রাস্তা যতই সুন্দর হোক কিন্তু নিজের পায়ে জোর না থাকলে সেই রাস্তা কোনোদিন দৌড়ে শেষ করে যায়না। ফিল নাইট বলেন -ছেঁড়াজুতো পায়ে সাত মাইল পথ দৌড়াতে দৌড়াতে যতবারই হোঁচট খেয়েছি ঠিক ততবারই নিজের ভিতর সাফল্যের অনুপ্রেরণা পেয়েছি। জুতো ঠিক যেভাবে ছিঁড়েছিলো সেই ছেঁড়া অংশটুকুর আদলেই নাইকির লগো বানিয়েছি যা অনেকটা দেখতে গ্রিক বিজয়ী দেবতার সিম্বল নাইকের ডানার মতো। জীবনের কোনো অভিজ্ঞতাই ফেলনা নয়, এমনকি এক জুড়ো ছেঁড়া জুতোও হতে পারে সাফল্যের এক বিশাল অনুপ্রেরণা।
#collected Zakariya vhai

Join The Discussion

Compare listings

Compare