বিষয় – বেয়াড় গ্রিলের অসাধারণ গোল্প ।

বিষয় – বেয়াড় গ্রিলের অসাধারণ গোল্প ।

ছেলেটির যখন ৮ বছর বয়স তখন তার বাবা তাকে মাউন্ট এভারেস্ট এর ছবি দেখিয়ে বলেছিলেন, তুমি কি পারবে এর চূড়ায় উঠতে? বুঝেই হোক আর না বুঝেই হোক ছেলেটি দৃঢ়স্বরে সেদিন বলেছিল, পারবো। মনের আশাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য স্কুল জীবন শেষ হতেই ইন্ডিয়ান আর্মির সিকিম ডিভিশনে ভর্তি হওয়ার মনস্থির করলো ছেলেটি, যাতে হিমালয় কে আরো কাছে থেকে জানা যায়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আর ভর্তি হওয়া হয়নি ছেলেটির। হতাশা চেপে রেখে কিছুদিন পর বৃটিশ আর্মির এয়ার ডিভিশনে কাজে যোগ দিলো সে। আর মনে মনে স্বপ্নের বীজ বুনতে থাকলো হিমালয়ের সবচেয়ে বড় পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের চূড়াকে নিয়ে।
এর মাঝেই জাম্বিয়াতে ফ্রি ফল প্যারাশুটিং করতে গিয়ে মারাত্নক ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় ছেলেটি। ভেঙে যায় শিরদাঁড়ার তিনটি কশেরুকা। ডাক্তাররা দেখে শুনে বলে দেয় আর কোনদিন হাঁটতে পারবেনা ছেলেটি। আর্মির চাকরিটিও ছেড়ে দিতে হয় তাকে। কিন্তু মনের পুরনো আশাকে পুঁজি করে ছেলেটি চেষ্টা করতে থাকে হাঁটবার। আর ডাক্তারের সব কথা মিথ্যা প্রমাণ করে মাত্র এক বছরের মাথায় ছেলেটি আবার হাঁটতে শুরু করে। আর তারো ছয়মাস পর ছেলেটি তার আজীবনের স্বপ্ন এভারেস্টের চূড়ায় উঠে সবচেয়ে কম বয়সে (২৩) এভারেস্টে ওঠার (১৬ মে ১৯৯৮) রেকর্ড করে (ছেলেটির পর আরো চারজন এই রেকর্ড ভেঙেছে)। অদম্য সেই ছেলেটি মাত্র ৩৫ বছর বয়সে চিফ স্কাউট হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে চিফ স্কাউট হওয়ার রেকর্ড গড়ে।
সেই ছেলেটি আর কেউ নয় তিনি হলেন Man vs Wild অনুষ্ঠানের বিয়ার গ্রিলস।

মূলকথা: স্বপ্ন দেখো পূরণ করার জন্য। স্বপ্ন দেখো তাকে বাস্তবায়নের জন্য। লক্ষ্যে স্থির থাকলে স্বপ্ন পূরণ হবেই। কিভাবে হবে জানি না, কিন্তু হবেই।

Collected from inbox
anyone know the name of
the writer comment below please

 

Join The Discussion

Compare listings

Compare