মোরাল = সফলতার জন্য জীবনে একজন মানসিক সাপোর্ট দেয়, পাশে থেকে সহযোগীতা করে এমন একজন নারী অতিব আবশ্যক । ২১
কাহিনি #
ফ্রেঞ্চ, সাহিত্য আর দর্শনে কোনোরকমে পাস করে জুরিখ পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হন আইনস্টাইন।
ক্লাসের প্রথমদিনেই তার দেখা হয় মেলিভা মেরিকের সাথে। ক্লাসের একমাত্র নারী শিক্ষার্থী, যিনি কিনা ভর্তি পরীক্ষায় গণিতে তার চেয়ে বেশি নাম্বার পেয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সে যুগে মেয়েদের লেখাপড়াকে এতটা উৎসাহিত করা হত না। বিজ্ঞানে তাই মেয়েদের এতদূর লেখাপড়া করাটা ছিল তাই দুরূহ ব্যাপার। প্রথমদিনেই তার জ্ঞানের প্রতি মুগ্ধ হন আইনস্টাইন। সেই মুগ্ধতা ধীরে ধীরে রূপ নেয় ভালবাসায়। পরবর্তীতে এই মেলিভা মেরিকই হন তার জীবনসঙ্গিনী।
অদম্য ইচ্ছার জোরে প্রকাশ করেন আরো তিনটি পেপার, যার মধ্যে একটি ছিল স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি নিয়ে। এই পেপার গণ্যমান্য বিজ্ঞানীদের নজর কাড়তে বাধ্য হয়। এসকল পেপারে সহযোগী ছিলেন তার সহধর্মিণী মেলিভা মেরিক। আইনস্টাইনের জীবনে তার প্রাপ্তির অর্ধেক দাবিদার আসলে তার এই স্ত্রী।
থিওরি অফ রিলেটিভিটির পেপারটি আইনস্টাইনকে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে এনে দেয় কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি। অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন ইউনিভার্সিটি অফ বার্নে। তার পেশাদার জীবনে উত্তরোত্তর উন্নতি হতে থাকলেও অবনতি হতে থাকে স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের। ততদিনে তিনি দুই ছেলের পিতা হয়েছেন। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেশায় তিনি অবহেলা করেছেন তার পরিবারকে। এককালের প্রেয়সী, কাজের সহকর্মীর সাথে এই দ্বন্দ্ব একপর্যায়ে রূপ নেয় বিচ্ছেদে। কেননা আইনস্টাইন তখন বুঁদ হয়েছেন তার মায়ের দিকের সম্পর্কিত এক বোনের প্রেমে।
মেলিভা মেরিকের সাথে দাম্পত্য জীবন শেষ হয়েছিল বেশ তিক্তভাবে। এককালের প্রেয়সী ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছিলেন জীবনের কাঁটায়। সম্পর্কের শেষদিকে তাকে সহ্য করতে হয়েছে আইনস্টাইনের দুর্ব্যবহার, অবহেলা আর উদ্ভট সব বিধিনিষেধ। আইনস্টাইনের পেশাদার জীবন যতটা আলোচিত, তার ব্যক্তিগত জীবনও তাই। জীবনে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন বেশ কিছু নারীর। তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলসা ছিলেন বেশ বুদ্ধিমতী ও চৌকস। আলাভোলা আইনস্টাইনকে মৃত্যুর আগপর্যন্ত আগলে রেখেছেন পরম যত্নে।
Collected from National Geographic