যতই মার্সিডিজ চড়ি, অন্য গাড়ি দেখলে নাক সিটকাই… শেষ যাত্রাটা কিন্তু হবে সেই ভাঙা টয়োটার ১৩৪
এখন যতই মার্সিডিজ চড়ি, অন্য গাড়ি দেখলে নাক সিটকাই… শেষ যাত্রাটা কিন্তু হবে সেই ভাঙা টয়োটার ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত’ লাল স্টিকার লাগানো লাশবাহী গাড়িতেই
এখন যতই দোকানে যেয়ে এই কাপড়ে আমার কুটকুট লাগে বলে দামী রিঙ্কেল ফ্রি কাপড় খুঁজি… পড়তে হবে সেই সুতির কাপড়টাই কাফনে
এখন যতই শক্ত বালিশ দেখলে দূরে ঠেলে দেই, পারলে পালকের বালিশও বানিয়ে আনি… শুতে হবে সেদিন বিনা বালিশে মাটিতেই
ফোম জাজিম তোষক ছাড়া শুয়ে শান্তি পাই না… আজ পর্যন্ত কবরে শোয়ার জন্য কেউ চাদরটাও নিয়ে যেতে পারেনি
এখন যতই কফি না খেলে আমার ফ্রেশই লাগে না বলি… সেদিন টঙ্গের দোকানের সস্তা চা পাতাই আমার আশেপাশে থাকবে আমার লাশটাকে ফ্রেশ রাখার জন্য
এখন যতই সুগন্ধি সাবান খুঁজি নিজের জন্য, সেদিন কর্পূর দিয়েই শেষ গোসলটা হবে
এখন যতই মসজিদে জুতা হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে নামাজে মনোযোগ দিতে পারি না… সেদিন আমাকে ঘর থেকে খাটিয়াতে তুলে খালি পায়েই বিদায় দিবে, কেউ বলবে না ভাইয়ের পেডিকিউর করা পা জোড়া দেখি খালি, একটা জুতা পড়ায়ে দে কুইক
এখন যতই প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে হাউকাউ করি… সেদিন কবরে যে ৩ টা প্রশ্ন করা হবে, সেগুলো বেঁচে থাকা অবস্থায় ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেও, আমরা অনেকেই ঠিক মতো উত্তর দিতে পারব না
এখন যতই বলি আমার এতো ফ্যান ফলোয়ার… সেদিন আমাকে কবরে রেখে কেউ অতিরিক্ত ১০ টা মিনিটও দাঁড়িয়ে থাকবে না… সবাই চলে আসবে
যদি কেউ গোরস্থানের গাছটা ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, সেটা হবে আমার বাবা মা ভাই বোন বা স্ত্রী সন্তানেরা
যাদের জন্য এখন কিনা আমাদের সময়ই নেই
Likhechen – Arif R hossain