১০ । দেশে রিয়েল এস্টেট বিজনেস
বিনিয়োগ – কমপক্ষে ১ কোটি টাকা ।
কি করে শুরু করবেন ?-
১। একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করুন, ডোমেইন কিনে ফেলুন এবং কোম্পানি রেজিত্রেসন করে নিন ।
২। ট্রেড লাইসেন্স করে ব্যাংক হিসেব খুলে ফেলুন ।
৩। একটা বিজনেস প্লান লিখে ফেলুন ।
৪। সুন্দর একটা অফিস নিয়ে বিজনেস শুরু করে দিন ।
এই বিজনেস কেন শুরু করা উচিৎ ?
১। বাসস্থান মানুষের মলিক চাহিদার একটি সুতরাং এই বিজনেস সারা জীবন চলবে ।
২। দুর্নীতি যদি আভাবেই চলতে থাকে বা আরও বৃদ্ধি পায় তবে রিয়েল এস্টেটের দাম আবার বেড়ে যাবে। কারন অবৈধ টাকা মানুষ বিনিয়োগের রিটার্ন হিসেব না করে বরং সেটা গোপন করতে বাস্ত থাকে । অবৈধ টাকা গোপন রাখার সবচেয়ে নিরাপদ অপশন হল রিয়েল এস্টেট ।
৭। দেশের ২/১ তা নামকরা মার্কেট ছাড়া প্রায় সকল মার্কেটে খুচরা বিক্রি কমতে থাকবে । মারকেতের নিচতলা ভাল চল্লেও ২ তালা কোন মত কিন্তু ৩/৪ তালার উপরের মার্কেট গুলো প্রায় আকদম চলবে না ।
৮। ছোট ফ্লাটের চাহিদা দিন দিন বারতে থাকবে । পরিবার গুলো এখন আর একসাথে থাকতে চায় না । গ্রামের বাড়ি গুলোও এখন ছোট করে করা হচ্ছে ।
৯। নিচে মার্কেট এবং উপরে ফ্লাট এমন ভবনের সংখ্যা ও চাহিদা বারতে থাকবে ।
১০। গ্রাম পর্যায়ে কোন কারন ছাড়াই বেক্তিগত উদ্যোগে বাসা বাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ চলছে এবং এই ধারা আগামি ২০ বছর অব্যাহত থাকবে ফলে গ্রাম পরজায়েও আখন প্লতের বিজনেস বিস্তার লাভ করছে ।
১২। রাজধানী ও জেলা শহরের চেয়ে থানা ও ইউনিওন পর্যায়ে জমির মুলো তুলনা মুলক বেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামিতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে ।
কেন এই বিজনেস শুরু করা উচিৎ নয় ?
১। রিয়েল এস্টেট মানেই ঝামেলা, রিয়েল এস্টেটের দাম খুব বেশি তাই এসব নিয়ে খুন, জবর- খারাপি, দখল ও মামলা মকদ্দমার সংখ্যা অশাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে ।
২। ফ্ল্যাট কেনার টাকার উৎস যদি সরকারকে দেখাতে সবাইকে বাধ্য করা হয় তবে অনেক কালো টাকা দেশের বাইরে চলে যাবে রিয়েল এস্টেটটে বিনিয়োগ কমে যাবে , ১৮ সালেও এমনিতেই ঢাকায় অনেক ফ্ল্যাট অবিক্রিত পরে আছে ।
৩। দেশের রাস্তা ঘাটের অনেক উন্নয়ন হওয়ায় দূরত্ব এখন কমে এসেছে , মানুষ সাভার থেকে আসে মিরপুরে অফিস করতে ফলে ঢাকায় অনেক ফ্ল্যাট ফাকা মানে ভাড়াটিয়া নাই, পরে আছে ফলে ফ্লাটের আকর্ষণ কমে যাচ্ছে । একটি ফ্লাট বিক্রি হতে গড়ে প্রায় ৮ মাস সময় লাগছে ।
.৪। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ অনেক সেবা ও পণ্য মানুষ এখন ঘরে বসেই পাচ্ছে । ঢাকা শহরে যারা মার্কেট করেছেন তাদের কপালে দুঃখ আছে ইতিমধ্যে বাংকের লোণের কিস্তি ঠিক মত পরিশোধ করতে না পেরে অনেক মার্কেট বিক্রির জন্য পরে আছে ।
৫। যুগের পরিবর্তনে এখন অনেক বিজনেসের জন্য আর কমার্শিয়াল অফিস লাগে না । যে কোন একটা বাসা বা বাড়ি হলেই চলে যাচ্ছে সুতরাং কমার্শিয়াল ভবন মালিকেরা ইতিমধ্যে সেটা বুঝতে পাচ্ছে । অনেক অফিস এখন গুলশান বনানি লাগে না উত্তরা , মিরপুর এমনকি ঢাকার বাইরে সাভার গাজীপুর চলে গেছে ।
৬। ফ্লাট বাড়ি কেনার চেয়ে ভাড়া থাকা লাভ জনক ইহা অনেকেই বুঝে গেছে তাই ফ্লাটের প্রতি মানুষের আকরসন দিন দিন কমে জাচ্ছে । মানুষ এর আগের মত ফ্লাটের জন্য পাগল না ।
ঝুকির পরিমান –
এই বিজনেস অত্তান্ত ঝুঁকিপূর্ণ । একটি ভুল প্রজেক্ট আপনাকে ফকির করে দিতে সক্ষম । এই বিজনেসে সাক্সেস রেট প্রায় ৬০% । মানে প্রতি ১০ টি কোম্পানির মধ্য প্রায় ৬ টি কোম্পানি বেরথ হয় এবং হারিয়ে যায় । এই বিজনেস সবার জন্য না ।