১৫। অনলাইন শপ বিজনেস   

১৫। অনলাইন শপ বিজনেস

বিনিয়োগ – ৫০ হাজার থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকা ।

কেন এই বিজনেস শুরু করবেন ?

১। খুব অল্প বিনিয়োগে এই বিজনেস শুরু করা যায় ।

২। নিজেদের ইউনিক পণ্য থাকলে আপনি খুব সহজে গ্রাহকের কাছে পউছিতে পারবেন ।

৩। এখন অনলাইনের যুগ তাই দিন দিন এই সেক্টরে বিজনেস বারতেই থাকবে ।

 

কেন অনলাইন শপ শুরু করবেন না ?-

১। আমার মনে হয়  বাংলাদেশে প্রতিদিন কমপক্ষে ১টি করে নতুন ইকমার্স সাইট চালু হচ্ছে । ইকমার্স চালুর বড় সুবিধা হলো পনের  টাকা হলেই ব্যবসাটি শুরু করা যায় । ১টি ডোমেইন ১০০০ টাকা। ১টি হোস্টিং ২০০০  টাকা। সাইট ডেভেলপমেনট এর জন্য ১০,০০০ টাকা । আনুষাংগিক ধরেন আরও ২০০০  টাকা ।
বিরাট স্বপ্ন নিয়ে সাইট চালু করা হয় । খরচ তেমন নাই, শুধু লাভ আর লাভ। সাইট চালুর দিন থেকেই নিজেকে জেফ বেজস (অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা )  ।  মাস গড়িয়ে বছর যেতেই ডোমেইন+হোস্টিং রিনিউ এর সময় চলে আসে। তখন ব্যবসা করা তো দূরের কথা ততোদিনে ডোমেইন-হোস্টিং এর রিনিউ খরচই উঠে নাই, পকেটের ভিজিটিং কার্ডটি আর ভাল লাগে না । ফলে অকালে একটি বেজসের মৃত্যু ঘটে ।

২। মনে রাখবেন “Strong money drives poor money” . এটা ইউনিক বা নতুন কোন সেক্টর না এখানে পলিসি ও ডোমেইন নেম ছারাও যে বিষয়টা বেশি গুরুত্ব পূর্ণ তা হল বাজেট । এখানে প্রতিযোগিতা পাহাড় সমান, সবাই একই মার্কেটে একই সময়ে একই পণ্য একই ক্রেতার নিকট বিক্রির জন্য চেষ্টা করে । বিজনেস শুরু করার আগে আপনার সামর্থ্য ও প্রতিযোগিতা যাদের সাথে করবেন তাদের সম্পর্কে একটু জেনে নিন । বড় কোম্পানির মার্কেটিং কৌশল আর বাজেটের নিচে চাপা পড়ে যাবে হাজার হাজার ছোট ছোট স্বপ্ন । আমাদের দেশে হয় অ্যামাজন আসবে নয় অ্যামাজন সৃষ্টি হবে কিন্তু সে সৃষ্টি হাজার বা লাখ টাকায় না এটা কটি কটি টাকার খেলা । ইতি মধ্যেই যারা এই বিজনেসে আছেন ব্যাপারটা বুঝতে পাচ্ছেন । ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে চলছে অনলাইন শপ বিক্রির বিজ্ঞাপন ।

৩।  এক সময় পত্রিকায় পড়েছিলাম ৮০০০ ফেসবুক অনলাইন পেজ আছে, মনে হচ্চে ইতিমধে ৪০০০ পেজ বিজনেস থেকে হারিয়ে গেছে। অনলাইনে বিভিন্ন গ্রুপে এখন অনলাইন শপ সেল হবে এমন পোষ্টের সংখ্যা বেড়ে গেছে । সবাই বাক্তি গত কারন বা সময় দিতে পারচেনা বলে বিক্রি করবে বললেও আসল সত্য হল ” কোন আয় হচ্ছে না ” তাই বিজনেস বিক্রি করছে । আসা করি আগামি ৫ বছরের বাকি ৩৯০০ গায়েব হয়ে যাবে বা পেজ গুলো হয়ত থাকবে কিন্তু কারো অফিস, স্টাফ, ষ্টক, কিছুই থাকবে না । থাকবে শুধু ফেসবুক পেজ আর বাহারি রঙের সব ভিজিটিং কার্ড । আর বাকি ১০০ বিজনেস এ থাকবে যাদের মধ্যে সেরা ৫ কোম্পানি টাকা কামাবে বাকি গুলো লাভ লস মিলেই চলতে থাকবে ।

 

৪।  একেবারেই নিজের প্রোডাক্ট ছাড়া অন্যের প্রোডাক্ট দিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে প্রচুর স্টক করার ক্ষমতা  থাকতে হবে । কেননা খুচরা কিনে অনলাইনে বিক্রি করলে প্রফিট তো দূরের কথা, লস কমানো অসম্ভব । কাজেই বাজারে পাওয়া যায় এমন প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে প্রচুর বাজেট নিয়ে নামতে হবে যেনো বাজার দরে পন্যটি ক্রেতাদের  দিতে পারেন  ।  অন্তত ৫বছর বিজনেসে টিকে থাকার মতো বাজেট না থাকলে ইকমার্স ব্যবসাতে না নামাই ভালো।  ইকমার্স ব্যবসা শুরু করা খুবই সহজ কিন্তু প্রফিট করা দূরের কথা টিকে থাকাই  প্রায় অসম্ভব । কাজেই যারা মনে করছেন রিয়েল লাইফ ব্যবসার থেকে ইকমার্স ব্যবসা সহজ এবং লাভজনক। তারা এখনও মায়ের পেতে আছেন ।

৫। খোদ অ্যামেরিকাতেও হাজার হাজার অনলাইন শপ আছে যারা আয় করতে পারছে না কারন মানুষ অন্যান্য সাইটের নাম জানলেও কেনা কাটা করার সময় ম্যাক্সিমাম গ্রাহক AMAZON কেই বেছে নিচ্ছে । বড় বড় কোম্পানি মার্কেট ধরার জন্য প্রয়োজনে মালামাল মাগনা দেবে মানুষকে, তাদের মার্কেটিং বাজেটের নিচে চাপা পরে যাবে ছোট ছোট সব স্বপ্ন । সুতরাং মার্কেটের আকার , বাজার, প্রতিযোগিতা, এসব না বুঝে ভূলেও কেউ এই কাজ করবেন না ।

৬।  একটি প্রশ্ন আপনি ৫০  হাজার   ১০ লাখ টাকা নিয়ে কীভাবে চিন্তা করেন যে হাজার কটি টাকার মার্কেটের সব বড় প্লেয়ার দের বিগ বাজেটের সাইট বাদ দিয়ে মানুষ আপনার সাইট থেকে কিনবে

৭ । বর্তমানে  প্রায় সবাই লসে আছে ।

৮ । ইকমারসের চেয়ে ডেলিভেরি ও বুস্ত করে দেয় এমন কোম্পানি হয়ত বেশি হবে ।  প্রায় সকল নতুন ডেলিভেরি কোম্পানি লসে আছে ।

৯। যারা বরতমানে বুস্ত ও অনলাইন বিজনেস ট্রেনিং সেন্তার খুলেছে তাদের বেশিরভাগ ইকমারসে বাস খেয়ে আই বিজনেস খুলেছে ।

১০ ।  নিজস্ব প্রোডাক্ট ছাড়া কোন ইকমারস টিকে থাকা দিবা স্বপ্নের মত ।

১১ । দেশের সেরা অনলাইন সপের মালিক হবে কোন বিদেশি বা দেশি গ্রুপ অফ কোম্পানি ।

১২  । নিজে বাংলাদেশে  অ্যামাজন হতে চাইলে ১০০ কোটি টাকা রেডি করেন আগে ।

১৩ । একটি কথা না বললেই না । ইসলাম পুর থেকে কাপর কিনে অনলাইনে বিক্রি করে যদি অ্যামাজন হতে চান তবে আপনি ভুল করছেন । কারন ২ দিন পড়ে ইসলাম পুরের পাইকার যদি ওই একই পণ্য পাইকারি দামে বাজারে ছারে কে কিনবে আপনার থেকে ?

১৪  । আকেবারে ইউনিক বা আঙ্কমন বা নিজেসস পণ্য ছাড়া  টিকে থাকা হবে অনেক কঠিন । কারন একই পণ্য যখন সবাই বিক্রি করতে চাইবে একই মার্কেটে তখন প্রতিজগিতা বেরে যাবে সেই প্রতিযোগিতায় সেই টিকে থাকবে যে সবচেয়ে কম পামে সেরা পণ্য দিতে পারবে সেখানে আপনার পাইকারি কাপর কিনে খুচরা অনলাইনে বিক্রি করলে কি করে পারবেন আপনার বিজনেস তিকিয়ে রাখতে ?

 

 

ঝুকি কেমন ?-

এই বিজনেসে ঝুকি ৯০% । শুধু মাত্র ইউনিক ও নিজেসস পণ্যর কোম্পানি ছাড়া কেউ টিকতে পারবে না । প্রতি ১০০ জনে হয়ত ১০ জন কোনোমত টিকে যেতে পারে ।

Join The Discussion

Compare listings

Compare