১৭ । এক্সপোর্ট ইমপোর্ট বিজনেস

১৭ । এক্সপোর্ট ইমপোর্ট বিজনেস

বিনিয়োগ – ১০ লাখ থেকে কোটি কোটি টাকা

কি করে শুরু করবেন ?-

১। প্রথমে এই বিজনেস করে এমন ৪/৫ জনের সাথে কমপক্ষে মাস ৬ চলাফেরা করুন ।  প্রশ্ন ও আদ্দার ছলে সব কিছু সেখার চেষ্টা করুন । বিজনেস্তি বুঝতে চেষ্টা করুন ।

২। এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লাইসেন্স নেয়ার পরে ব্যাংক হিসেব খুলে ফেলুন ।

৩। দেশে কোন পন্নের চাহিদা কেমন গবেষণা করুন, বিদেশে যে পণ্য চাহিদা আছে সেজন্ন ক্রেতা খুজতে থাকুন। ক্রেতা খুজতে কেউ বিদেশে এজেন্ট কেউ আবার অনলাইনে চেষ্টা করে । আলিবাসা আপনাকে যে কোন পণ্য অর্ডার করতে সাহায্য করবে ।

৪। ইম্পরত করার খেত্রে ব্যাংক মারফত এল সি খুলুন । কোন মোটেই আগে কোন ক্যাশ টাকা দিতে যাবেন না ।

৫। এক্সপোর্ট করার খেত্রে ওয়ার্ক অর্ডার পাবার পরে এল সি দেয়ার পরে আপনার পণ্য বিমানে বা জাহাজে পাঠানোর চেষ্টা করুন ।

কেন এই বিজনেস শুরু করবেন ?-

১। এই বিজনেসে ১০০ টাকার জিনিস ১০০ টাকায় বিক্রি করা যায় বুঝতেই পাচ্ছেন তাইলে এটা কেমন লাভজনক ।

২। প্রচুর বিদেশি মুদ্রা আয় করা সম্ভব হয় ।

 

কেন এই বিজনেস শুরু করবেন না ?

১। খুবি ঝুকি পূর্ণ একটি বিজনেস । মাল পাঠাতে দেরি হলে অর্ডার বাতিল, অনেক সময় দুরঘতনায় পতিত হলে খতিতে পরতে হয়,  মাল দেশে আসতে আসতে দেরি হলে দাম অনেক সময় কমে যায় ।

২। অনেক বেশি মূলধন বিনিয়োগ করতে হয় । দেশের লোকাল মার্কেটে কোটি কোটি টাকা বাকি দিতে হয় । বাকি দেয়া অনেক টাকা সারাজিবনেও আর ওঠে না ।

 

ঝুকির পরিমান –

এই বিঝনেস খুব লাভজনক খুব ঝুঁকিপূর্ণ , আমার হিসেবে প্রায় ৫০% বিজনেস ভুল পণ্য, প্রতারনা, জালিয়াতির ফাদ, ও বাকি দেয়ার ফলে প্রচুর লাভজনক হউয়া সত্তেও প্রতি ১০ জনে ৫ জন এই বিজনেস করে টিকতে পারে না । ফলে পরে এই বিজনেসের নাম থাকলেও আসলে পাশাপাশি অন্য কোন বিজনেস করে টিকে থাকে ।

 

Join The Discussion

Compare listings

Compare